চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

এম মাঈন উদ্দিন মিরসরাই প্রতিনিধি

রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিলেন নয়ন চেয়ারম্যান

প্রকাশ: ২০২০-০৪-২৫ ২১:০৯:৩০ || আপডেট: ২০২০-০৪-২৫ ২১:০৯:৩৪

এম মাঈন উদ্দিন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম):

বৃষ্টি অপেক্ষা করে ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিলেন মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন। করোনার প্রার্দুভাবে কর্মহীন মানুষ গুলোর পে সম্ভব হয়নি রমজানে সেহেরির খাবার আর ইফতার সামগ্রী কিনে রাখার। তাই তো প্রচন্ড বৃষ্টি ও বজ্রপাত উপেক্ষা ট্রাক ভর্তি মুরগী আর খাদ্য সামগ্রী নিয়ে অসহায় পরিবারগুলোর মাঝে ছুটে গেলেন চেয়ারম্যান নয়ন। শুক্রুবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের দণি অলিনগর গ্রামে বসবাসরত প্রায় ৬০০ পরিবােের মাঝে ১ টি করে মুরগী ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শহীদ উল্লাহ, আজাদ উদ্দিন, ফেয়ার আহমদ মিন্টু ও আওয়ামীলীগ নেতা জহুরুল হক কোম্পানী। উপজেলার দণি অলিনগরের অবস্থিত আবাসন প্রকল্পটিসহ পুরো এলাকাটিতে অনেক ক পরিবার বসবাস করে থাকেন। সব মানুষই দিনমজুর। যা আয় করে তা দিয়ে চলে যায় দিন। অধিকাংশ পরিবারের উপার্জনম ব্যক্তিরা কেউ রাজমেন্ত্রী,কেউ কাঠমিস্ত্রী পেশায় নিয়োজিত আবার কেউ রিক্সচালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। প্রতিবছর রমজানের প্রথম সেহেরী আর ইফতারে থাকতো একটু বাড়তি আয়োজন। এই বছর করোনার প্রভাব আর কর্মহীন হয়ে থাকার ফলে অভাব, দুইটাই আঁকড়ে ধরেছে এখানে বসবাসরত মানুষগুলোকে।এসময় খাবার সামগ্রী পেয়ে আবেগেআল্পুত পরিবারগুলো। আবাসন প্রকল্পে বসবাসরত খালেদা বেগম জানান, করোনার প্রভাবে তার স্বামী বেকার এই দিকে পরিবারটিতে সদস্য সংখ্যা ৫জন। নয়ন চেয়ারম্যানের এমন উদ্যোগের ফলে সেহেরীর খাবার আর ইফতার সামগ্রী পেয়ে বেশ খুশি তারা। রুবেল নামে একজন বললেন একইু কথা,ভাই বোন মিলিয়ে রুবেলের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬। বাবা রিক্সা চালাতো, সে নিয়োজিত ছিলো রাজমেস্ত্রী পেশায়। লকডাউন পরিস্থিতে কর্মহীন বাবা ছেলে দুইজনই।রমজানের আগের দিন এভাবে খাদ্যসামগ্রী পেয়ে খুশি তারা। চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন বলেন,পবিত্র মাহে রমজানের শুরুতে পরিবারগুলোর মাঝে হাসি ফুটাতে আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যতই বৃষ্টি হোক সন্ধ্যার আগে পরিবার গুলোর মাঝে স্ব শরীরে আমাকে খাবার পৌঁছে দিতে হবে। কারণ মুরগী আর খাদ্যসামগ্রী পেলে প্রথম রমজানের সেহেরী তারা ভালো ভাবে করতে পারবে। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা পরিবারগুলোর মাঝে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে সম হয়েছি। তিনি আরো বলেন, গত দেড়মাসে ইউনিয়নের প্রায় ৪ হাজার পরিবারের মাঝে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী দিয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *