রফিকুল আলম ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০২০-০৪-২৭ ২০:৫৫:৩৮ || আপডেট: ২০২০-০৪-২৭ ২০:৫৬:২৫
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের দক্ষিন পাইন্দং গ্রামে ৪ বছরের শিশু দিহান হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
থানা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর স্থানীয়দের মাঝে ও থানা পুলিশের মনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। এ অবুঝ শিশু দিহানের হত্যা রহস্য বের করা ছিল অনেক কঠিন। ছোট্ট শিশু দিহানের তো শত্রু বলতে কেহ নেই। এ অবস্থায় পুলিশ দিহানের মা সহ ৫ জনকে থানায় নিয়ে আসে। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের শুরুতেই তদন্তটিমের সন্দেহের পাল্লা ভারী হয় জিহানের জেটির দিকে। টিমের সকল সদস্যদের আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্ব ও অভিজ্ঞতা প্রসূত জিজ্ঞাসাবাদে রাত আনুমান ২টার সময় দিকে দিহানের জেঠি রেশমী আক্তার স্বীকার করে যে, পারিবারিক কলহের কারণে সে দিহানকে হত্যা করেছে। রাতেই তার দেখানো মতে হত্যার সময় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের মনে নানা প্রশ্ন, তবে পারিবারিক কলহ কি নিয়ে, বা কি কলহ ; কলহ কি ছিল, এ শিশু দিহানের কি অপরাধ ছিল, এ সবের উত্তর মিলবে কি।
পুলিশ আরো জানায়, নিজ হাতে ছুরি দিয়ে অবুঝ এ শিশুকে ১৬ টি আঘাত করে সব রক্ত তিনি নিজ হাতে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে বাচ্চাটিকে কলাপাতা মুড়িয়ে পাশের লাকড়ির ঘরে লুকিয়ে রাখেন।
স্থানীয়দের মনে নানা প্রশ্ন, তবে পারিবারিক কলহ কি নিয়ে, বা কি কলহ ; কলহ কি ছিল, এ শিশু দিহানের কি অপরাধ ছিল, এ সবের উত্তর মিলবে কি।
ফটিকছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বাবুল আক্তার বলেন, ঘটনাটি খুবই অমানবিক। এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা জনি আক্তার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে জড়িত জেঠি রেশমা আক্তার (২৫) কে আটক করে সোমবার কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার দুপুরে উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের দক্ষিণ পাইন্দং কালু বাপের একটি ঘর থেকে নাড়িভুঁড়ি বের হওয়া অবস্থায় দিহানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত দিহান পাইন্দং কালুর বাপের বাড়ীর প্রবাসী দিদারুল আলমের পুত্র।