চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

এডমিন বীর কন্ঠ

ভালো নেই লোহাগাড়ার ব্যবসায়ীরা!

প্রকাশ: ২০২০-০৫-০১ ২৩:৫৪:৪৮ || আপডেট: ২০২০-০৫-০১ ২৩:৫৪:৫২

কাইছার হামিদের ফেইসবুক টাইমলাইন থেকে নেয়া :

একটুও ভালো নেই লোহাগাড়ার ব্যবসায়ীরা! সারাক্ষন চিন্তিত! হতাশ! অনেকেই মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন।

বটতলী ষ্টেশনে ৫ হাজারের অধিক দোকান রয়েছে। এক সময় খুব জমজমাট ব্যবসা হলেও এখন নেই। যার কারনে রমজানের ব্যবসার উপরেই সারা বছর চলতে হয় ব্যবসায়ীদের। এমন মূহুর্তে লকডাউন।

ব্যবসায়ীরা ঈদ উপলক্ষ্যে সব প্রস্তুতি লকডাউনের আগেই শেষ করেছেন। ব্যক্তি লোন ও প্রাতিষ্টানিক লোন নিয়ে “মালামাল” সরবরাহ করেছেন। আবার অনেকের টাকা ভারত, পাকিস্থান, চীন ও ঢাকায় আটকে গেছে। টাকা ফেরৎ’রও কোন সুযোগ নেই। এমন পরিস্থিতিতে খুব খারপ সময় অতিবাহিত করছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে দোকান ভাড়া, বাসা ভাড়া, কর্মচারীর বেতন পরিশোধে বেকায়দায় পড়েছেন। অনেক ব্যবসায়ী নিজের ঘরে “নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য” ক্রয় না করে কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করেছেন। অভাব অনটন চলছে ব্যবসায়ীদের ঘরে!!!

উল্লেখ্য, বটতলী ষ্টেশনে লোহাগাড়ার ৯ ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তি এলাকার লোকজন শপিং করতে আসতো। সময়ের ব্যবধানে পদুয়া, আধুনগর, চুনতি, বড়হাতিয়া ও কলাউজান এলাকাসহ পার্শ্ববর্তি এলাকায় শপিং মল গড়ে ওঠেছে। যার কারনে ১১ মাসই মন্দ থাকে বটতলীর ব্যবসা। সিংহভাগ ব্যবসায়ী ব্যাংক, অন্য আর্থিক প্রতিষ্টান, এনজিও, ব্যক্তি লোন ও দাদনের কাছে ঋণগ্রস্থ।

এমন অবস্থায় “স্বাস্থ্য ঝুঁকি” না হয় মতো দোকানগুলো খোলা যায় কিনা ভাবা উচিত বলে আমি মনে করি। প্রয়োজনে “স্বাস্থ্য ঝুঁকি” এড়াতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ‘সেচ্ছাসেবী নিয়োগ’ দেয়া যেতে পারে। একটি ‘পরিকল্পিত চক’ এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবসা করার সুযোগ সৃষ্টি করবেন, এমনটা প্রত্যাশা আমার। অন্যথায় অনেক ব্যবসায়ী নি:স্ব হয়ে যাবে।

লেখক: সাংবাদিক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *