চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

admin

চকরিয়ায় সন্তানের নামে জমি লিখে না দেয়ায় মাকে ১১দিন ধরে নির্যাতন

প্রকাশ: ২০২০-০৫-১১ ১৭:৫৩:২৪ || আপডেট: ২০২০-০৫-১১ ১৭:৫৩:২৯

মিজবাউল হক, চকরিয়া■
কক্সবাজারের চকরিয়ায় নিজ নামীয় বসতভিটার জমি রেজিষ্ট্রি না দেয়ায় ৮০ বছর বয়সী বয়োবৃদ্ধা মাকে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে পাষন্ড ছেলে ও নাতি। খবর পেয়ে নির্যাতন ও বেধম মারধরের শিকার বয়োবৃদ্ধা মাকে হারবাং পুলিশ ও আত্বীয় স্বজনরা ১১দিন পর জিম্মি দশা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের জমিদার পাড়ায় ঘটেছে এ ঘটনা।

সন্তানের বিচার চাইলেন ৮০ বছর বয়সী মা আছিয়া বেগম। তিনি অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মরহুম লেদু মিয়ার স্ত্রী। তিনিও (আছিয়া বেগম) অবসরপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠকর্মী ছিলেন। ছেলে আজিজুল হক আলম চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহায়ক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। এঘটনায় মা বাদী হয়ে গত ৯ মে’ অভিযুক্ত মাদকাসক্ত ছেলে আজিজুল হক আলম ও নাতি ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহসভাপতি মেহেরাজুল হক চৌধুরী ইয়াদকে বিবাদী করে থানায় এজাহার দায়ের করেন।

অভিযোগে জানা গেছে, আছিয়া বেগম পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে চাকুরী করতেন এবং মরহুম স্বামী লেদু মিয়া পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন। ছেলে আজিজুল হক আলম শাররীক প্রতিবন্ধী হওয়ায় কষ্ট করে বনবিভাগে চাকুরীর ব্যবস্থা করেন। কিন্তু পুত্রের অধীনে মায়ের বসতভিটায় থাকলেও পুত্রকে প্রতি মাসে খোরাকি বাবৎ দিতে হয় ১৫০০ টাকা করে। ছেলেকে মাদক সেবনের জন্যও প্রতিনিয়ত টাকা দিতে হয়। সর্বশেষ গত ২৬ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মায়ের সম্পত্তি ছেলের নামে লিখে দেয়ার জন্য মাকে শাররীক নির্যাতন শুরু করে ছেলে ও নাতি। লোহার রড, হাতুড়ী দিয়ে মারধরের মাঝেও ছেলের নামে জমি লিখে দেবেন না বলে জানিয়ে দিলে ব্যবহৃত মোবাইলটি কেড়ে নিয়ে একটি কক্ষের মধ্যে মাকে আটক রাখে। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে মেয়েসহ আত্বীয়স্বজনরা গত ৭ মে’ খবর পান। পরে ৯ মে’ দুপুরে হারবাং ফাঁড়ি পুলিশের নেতৃত্বে আত্বীয় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে নিয়ে যান।

এঘটনায় মা আছিয়া বেগম (৮০) বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, অভিযোগটি পাওয়ার তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হারবাং পুলিশ ফাঁড়িকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে তিনি বিষয়টি এত গুরুত্ববহ তা জানতেন না। তিনি বর্তমানে মানবিক দৃষ্টিতে বিশেষভাবে নেয়া হবে বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *