মো: নুরুল আলম, চন্দনাইশ(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০২০-০৫-১১ ১৭:৩৬:৩৫ || আপডেট: ২০২০-০৫-১১ ১৭:৩৬:৩৯
মো. নুরুল আলম, চন্দনাইশ(চট্টগ্রাম)■
মাঠে সোনালী ধানে কৃষকের মনে আনন্দের ঢেউ। কিন্তু কাটতে শ্রমিক পাচ্ছেন না কৃষক। এদিকে আকাশে মেঘ। বৃষ্টি নামলেই সর্বনাশ। এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে এলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ-কেন্দ্রীয় কমিটির সদ্য সাবেক কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপ-সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ন-আহবায়ক মীর মো. মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তার সহযোগিতা ধান উঠলো আঙিনায়। হাসি ফুটলো কৃষকের।
“বাঁচলে কৃষক বাঁচবে দেশ, শেখ হাসিনার নির্দেশ” এ প্রতিপাদ্য নিয়ে কোভিড ১৯ বা নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত গরীব কৃষকদের ধান স্বেচ্ছাশ্রমে কাটা কর্মসূচী পালন করা হয়। করোনা সংকটে অসহায় মানুষ এবং কৃষকের পাশে দাঁড়াতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংগঠনটির সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
এরই অংশ হিসেবে চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের আরিফ শাহ পাড়ার গরীব-হতদরিদ্র কৃষক শামসুল আলমের প্রায় দুই কানি জমির ধান কেটে কৃষকের বাড়িতে তুলে দিলেন যুবলীগ নেতা মীর মো. মহিউদ্দিন। তার সহযোগিতায় বিপদ গ্রস্ত কৃষক শামসুল আলম কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে সংগঠনকে।
গরীব-হতদরিদ্র কৃষক শামসুল আলম বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংকটে পড়ি। পরে যুবলীগের নেতা মীর মো. মহিউদ্দিনের সহযোগিতায় ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেন। তার মানবিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
যুবলীগ নেতা মীর মো. মহিউদ্দিন বলেন, দেশে আজ ক্রান্তিকাল চলছে। করোনা ভাইরাসের কারণে এদিকে কৃষকরাও তাদের জমির ধান কাটার শ্রমিক পা”িছল না। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসে। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশনা ছিল কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর। তাই আমরা যুবলীগের নেতাকর্মীরা গিয়ে কৃষকের ধান কেটে তাদের বাড়ি পৌঁছে দেই।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর মনোবল নিয়ে বর্তমান এই পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা করছেন। তাই আমাদের এই ধান কাটার উৎসব লোক দেখানোর জন্য নয়, মানুষের পাশে থাকাটাই আমাদের উদ্দেশ্য। আমাদের দেখে যেন চট্টগ্রামের চন্দনাইশে আরো কিছু মানুষ উদ্বুদ্ধ হয় ও উৎসাহিত হয়ে গরীব অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায় এটাই আমার কাম্য। এই করোনা ভাইরাস ও মহামারির ক্রান্তিলগ্নে নিজ নিজ দূরত্ব বজায় রেখে গরীব অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোটাই আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য।
তিনি বলেন, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদের এই কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে। সকলের সহয়োগিতায় আমরা এ কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো, এজন্য প্রত্যেকের সহযোগিতাও কাম্য। দেশের যেকোন ক্রান্তিলগ্নে দেশ সেবায় নিয়োজিত ছিলাম, আগামী দিনগুলোতেও আমি দেশের জন্য, জনগণের জন্য কাজ করে যাবো ইন্শাআল্লাহ। সবাই নিজে সচেতন হই এবং অন্যকেও সচেতন করি। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলে সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাই। বাসায় থাকি, নিরাপদ থাকি।
এর আগে ত্রাণ নিয়ে চন্দনাইশে অলিতে-গলিতে অসহায় কর্মহীন মানুষের জন্য ছুটেছেন যুবলীগের এই নেতা।
গত ১১ মে (সোমবার) ভোরে কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশে সপ্তাহব্যাপী স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটা ও কৃষকের বাড়ি পর্যন্ত পৌছে দেয়ার কর্মসূচী উদ্বোধনের মাধ্যমে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ-কেন্দ্রীয় কমিটির সদ্য সাবেক কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপ-সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ন-আহবায়ক মীর মো. মহিউদ্দিন। কর্মসূচিতে অন্যদের অংশ নেন চন্দনাইশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন-আহবায়ক দিদারুল হক দস্তগীর, সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর, ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ফোরক আহমদ, যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক কুতুব উদ্দিন হাসান, যুবলীগ নেতা নিয়াজুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, মো. আবু, ছাত্রলীগ নেতা তারেকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, মো. আরমান, মো. সমিউল, মো. ইয়াছিন, আরজু মিয়া, জিহান বাবু প্রমুখসহ সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ।
ছবির ক্যাপশনঃ চন্দনাইশে সাতবাড়িয়াতে যুবলীগ নেতা মীর মো. মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে হতদরিদ্র কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিলেন।