কাইছার হামিদ
প্রকাশ: ২০২০-০৫-১৮ ১৭:১৩:০১ || আপডেট: ২০২০-০৫-১৮ ১৭:১৩:০৫
উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় আম্ফান থেকে সম্ভাব্য প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি মোকাবেলায় উপকূলীয় ১৯টি জেলায় সাত হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এর আগে ঘূর্ণিঝড় ফণিতে ১৮ লাখ এবং বুলবুল’র সময় ২০ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছিল। এবার আম্ফান মোকাবেলায় ৩০ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকরা মানুষকে সতর্কতামূলক মাইকিং শুরু করেছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার ক্ষেত্রে গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগের চেয়ে তিনগুণ বেশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট ডিসি ও ইউএনওদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে স্থানীয় স্কুল-মাদ্রাসাকেও আশ্রয়কেন্দ্রের আওতায় আনা হবে।
সূত্র মতে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সোমবারই আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য শুকনো খাবার, শিশুখাদ্যসহ পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ শক্তি বাড়িয়ে ‘অতি প্রবল’ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি ধেয়ে আসছে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলের দিকে। মঙ্গলবার শেষরাত থেকে বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে এটি খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।