চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

নুরুল আলম, চন্দনাইশ(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চিকিৎসকসহ ৫ স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত চন্দনাইশে

প্রকাশ: ২০২০-০৫-২২ ২২:০৪:২৪ || আপডেট: ২০২০-০৫-২২ ২২:০৪:৩২


মো. নুরুল আলম, চন্দনাইশঃ

চন্দনাইশ উপজেলায় গত ২০ মে রাতে ১ চিকিৎসক ৫ স্বাস্থ্যকর্মীর রির্পোট পজেটিভ হওয়ায় করোনা রোগী হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছে। ফলে চন্দনাইশে ১ চিকিৎসক, ৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীসহ ১১ জন করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষ আতংকে রয়েছে। চন্দনাইশের অধিবাসী পিতা-পুত্র চট্টগ্রাম নগরীতে করোনা রোগে মৃত্যুবরণ করলে তাদের লাশ চন্দনাইশে দাফন করা হয়।

গত ২০ মে প্রথম চন্দনাইশে ১ জন চিকিৎসকসহ ৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা রোগী হিসেবে সনাক্ত হওয়ায় সাধারণ মানুষ আতংক গ্র¯’ হয়ে পড়েছে। গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি দেশে করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পর প্রথম গত ২২ মার্চ চন্দনাইশে আবিদ নামে ১০ মাসের শিশু, ২ এপ্রিল ১৫ বছরের সাদিয়া, ১৩ মে ওয়ার্ড বয় সুমন দত্ত (৩৫), চৌধুরী পাড়ার আবুল বশরের ছেলে মো. মাসুদ (২৫), ১৫ মে চন্দনাইশ স্বা¯’্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ফারজানা কালামের কাজের মেয়ে নুর আয়েশা (৫৫), ১৭ মে হাজির পাড়ার আহমদ উল্লাহর ছেলে মিসকাত (১৩) করোনা রোগী হিসেবে সনাক্ত হয়। দীর্ঘ দুই মাসে ৫ জন করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পর হঠাৎ করে গত ২০ মে ১ চিকিৎসকসহ ৪ স্বাস্থ্যকর্মীর রির্পোট পজেটিভ আসে। ফলে চন্দনাইশে করোনা রোগী ১১ জনে দাঁড়ায়।

গত ২০ মে চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবু রাশেদ মোঃ নুরুদ্দিন (৪০), ওয়ার্ড বয় কৃষ্ণ চক্রবর্তী (৩৮), সিএইচসিপি চন্দন দে (৩২), এমএলএসএস হাবিবুর রহমান (৩৩), জামাল উদ্দীনের (৪৬) রির্পোট পজেটিভ আসে। ফলে এসকল পরিবারের সদস্যদের লকডাউনে রাখা হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সম্মুখভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে এসকল রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) আকতারুজ্জামান রবিউল, (ল্যাব) ছোটন কুমার পাল। সে সাথে চন্দনাইশে করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ২০ মে রাতে চন্দনাইশ স্বাস্থ্ড কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করে এ ৪ জনকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য প.প. কর্মকর্তা ডা. শাহীন হোসাইন চৌধুরী। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত চন্দনাইশের ১৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তৎমধ্যে ৯৭ জনের রিপোর্টের মধ্যে ১১ জনের পজেটিভ এসেছে। গতকাল ২১ মে ডা. ফারজানা কালামের পরিবারের ৮ জন ও জোয়ারা ইউপি চেয়ারম্যান আমিন আহমদ চৌধুরী পরিবারের ৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। এদিকে চন্দনাইশ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীরের চাচাতো ভাই, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিভাগের অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু মুসা সাইফুল্লাহ (৭০) করোনা রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ১৩ মে সন্ধ্যায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অব¯’ায় মারা যান।

গত ১৪ মে বাদে যোহর হযরত আমিনুল্লাহ শাহ (রা.) মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। চন্দনাইশ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীরের চাচাতো ভাই, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিভাগের অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু মুসা সাইফুল্লাহ (৭০) করোনা রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ১৩ মে সন্ধ্যায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত ১৪ মে বাদে যোহর হযরত আমিনুল্লাহ শাহ (রা.) মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। দুইদিন পর গত ১৬ মে ভোর রাতে তার বড় ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী মো. আবু আবদুল্লাহ ইবলু (৩২) নগরীর বাসায় মৃত্যুবরণ করলে তার লাশ পিতার পাশে দাফন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *