চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

এডমিন বীর কন্ঠ

বাজালিয়ার চেয়ারম্যান তাপসের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কুচক্রিমহলের ষড়যন্ত্র!

প্রকাশ: ২০২০-০৬-০৩ ১৮:৫৬:১১ || আপডেট: ২০২০-০৬-০৩ ১৮:৫৮:৫৬

স্টাফ রিপোর্টার, বীর কন্ঠ :

সাতকানিয়ার বাজালিয়া ইউনিয়নের সংগরিষ্ঠ বাসিন্দা ইসলাম ধর্মাবলম্বী। গত ইউপি নির্বাচনে ওই সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ভোটেই চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাপস কান্তি দত্ত। মূলতঃ আওয়ামীলীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীক পাওয়া এবং ব্যক্তি হিসেবে তাপস কান্তি দত্ত সকলের পছন্দের পাত্র হওয়ায় হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন স্বপ্রণোদিত হয়ে বিপুল ভোটে তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন।

নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ বৈষম্য না করে জনগণের উপকারে কাজ করছেন তিনি। বিশেষকরে সঠিকভাবে সরকারি ত্রাণ বিতরণ, হাট-বাজার ব্যবস্থাপণা, আওয়ামীলীগ সরকারের অবদান প্রচার, রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ নানাবিধ ইতিবাচক কর্ম কান্ডের জন্য তিনি গণমানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেন। সর্বশেষ পুরো ইউনিয়নের ইমাম-মুয়াজ্জিন, খতিব ও খাদেমদের নিজ অর্থায়নে ঈদ উপহার দেওয়ায় তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে থাকে। বাজালিয়ায় এমন খুব কম ব্যক্তিই আছে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চেয়ারম্যান তাপস দত্তের অবদানের প্রশংসা করেনি।

ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ঈদ উপহার দিচ্ছেন চেয়ারম্যান তাপস কান্তি দত্ত

কিন্তু তাপস চেয়ারম্যানের এ জনপ্রিয়তার কারনে তিনি অনেকের চোখের বালিতে পরিণত হন। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বুনে তারই রাজনৈতিক দলের বিদ্রোহীরা। আগামী ইউপি নির্বাচনকে টার্গেট করে অপপ্রচারের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র ও কুটকৌশল চালাচ্ছে ওই অসাধু চক্রটি। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে চেয়ারম্যান তাপস কান্তি দত্তকে কখনো ইয়াবা বিক্রেতা, কখনো সন্ত্রাসী, কখনো মাদকসেবী, কখনো ভূমিদস্যু বলেও অপপ্রচার চালিয়েছে কুচক্রিমহল। কিন্তু জনগণ পাশে থাকায় তাপস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোন অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র সফল করতে পারেনি ঈর্ষাপরায়ন মহলটি। সর্বশেষ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে, ইউনিয়নের বহিরাগত লোকজনকে মারধর করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কথা বলতে বাধ্য করছে। সম্প্রতি এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেছে একটি পক্ষ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তাপস কান্তি দত্ত বীর কন্ঠকে বলেন, ‘‘গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আমার প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন বাজালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শহিদুল্লাহ চৌধুরী। তিনি মনোনয়নের দৌড়ঝাঁপে নৌকার প্রতীক পাননি। নির্বাচনেও জনগণ তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই ওই সময় থেকে ক্ষোভ নিয়ে তিনি আমার পিছু লেগেছেন এবং একের পর এক ষড়যন্ত্র করছেন”।

তিনি আরো বলেন, “জনগণের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক। মানুষ আমাকে ভালবাসে। আগামী নির্বাচনেও আমার বিজয় সুনিশ্চিত জেনে ভারাটে লোকজন দিয়ে আমার বিরুদ্ধে কথা বলাচ্ছে।”

চেয়ারম্যান তাপস বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমি শহিদুল্লাহ চৌধুরীকে শ্রদ্ধাকরি। সজিব নামের যে ছেলেটার কথা উঠে আসছে সে আমার খুবই স্নেহের। যীশুর সাথে আমার কোন বিবাদ নাই”।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়া ভিডিও ব্যাপারে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান তাপস কান্তি দত্ত বলেন, ‘‘আটক ছেলেগুলো আমার ইউনিয়নের নয়। তাদের আমি চিনিওনা। লোকজন বলছে, তাদেরকে মারধরের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে কথা বলতে বাধ্য করছে কুচক্রিমহল”।

চেয়ারম্যানের সাথে জামায়াতের আঁতাতের অভিযোগ উঠার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অবিশ্বাস্য ব্যাপার। এটার প্রশ্নই উঠেনা।”

এদিকে বিভিন্ন পত্রিকায় চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে প্রচারিত সংবাদের ব্যাপারে বাজালিয়ার স্থানীয় লোকজনের মতামত জানতে চায় এ প্রতিনিধি। বাজালিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমির হামজার পূত্র ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ওসমান গণী বীরকন্ঠকে বলেন, “তাপস দত্তের মত চেয়ারম্যান পেয়ে আমরা ধন্য। করোনা মহামারির এই পরিস্থিতিতে সরকারি ত্রান ছাড়াও ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে পরিস্থিতির শিকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন চেয়ারম্যান তাপস। তিনি হিন্দু হয়েও নিজ উদ্যোগে ইমাম, মুয়াজ্জিনদের সহায়তা করেছেন। যখন তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠছে, তখন অপপ্রচারের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি”

বাজালিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাহবুবুল আলম বলেন, “১৯৯৬ সাল থেকে আমি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার। বিভিন্ন মেয়াদে তিনজন চেয়ারম্যানের সাথে কাজ করার সুযোগ আমার হয়েছে। কিন্তু তাপস দত্তের মত উদার, জনপ্রিয়, অসাম্প্রদায়িক চেয়ারম্যান আমি দেখিনি। তার বিরুদ্ধে যা অপপ্রচার চালাচ্ছে তা ভিত্তিহীন।”

সাতকানিয়া থানা সূত্রে জানাগেছে, মঙ্গলবার সকালে বাজালিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে হাবিবুর রহমান ও তরিকুল ইসলাম জিসান নামের ২ যুবককে পুলিশ আটক করেছ, যারা বাজালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা নয়। তারা কি জন্য বাজালিয়ায় এসেছিল, কারা এনেছে, কারা মারধর করেছে এসব বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে থানা পুলিশ।

এ ব্যাপারে জানতে বাজালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শহিদুল্লাহ চৌধুরীর মুঠোফোনে কল করলে সংযোগ না পাওয়ায়া বক্তব্য নেয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *