admin
প্রকাশ: ২০২০-০৮-১২ ২২:০২:৫৪ || আপডেট: ২০২০-০৮-১২ ২২:০৩:০০
মহেশখালী প্রতিনিধি|
মহেশখালীর বহুল আলোচিত আবদুস সাত্তার হত্যার ঘটনায় থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা নেয়নি আদালত। উচ্চ আদালতে রিট থাকায় আদালত মামলাটি গ্রহণ করেননি।
বুধবার (১২ আগস্ট) দুপুরে মহেশখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন ভিকটিম আবদুস সাত্তারের স্ত্রী হামিদা আক্তার (৪০)।
বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দিন ফৌজদারি দরখাস্তটি আমলে নিতে অপারগতা জানিয়ে বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে দায়ের করা রিট রয়েছে।
ওসি প্রদীপ ছাড়া এতে এসআই হারুনুর রশীদ, এসআই ইমাম হোসেন, এএসআই মনিরুল ইসলাম, এএসআই শাহেদুল ইসলাম ও এএসআই আজিম উদ্দিনকে অভিযুক্ত করেছিলেন বাদি।
ফৌজদারি দরখাস্তে ২৯ আসামির মধ্যে প্রধান আসামি ফেরদৌস বাহিনীর প্রধান ফেরদৌস (৫৬) মহেশখালী দ্বীপের হোয়ানকের মৃত নুরুল কবিরের ছেলে।
ভিকটিম আবদুস সাত্তার হোয়ানক পূর্ব মাঝেরপাড়ার মৃত মৃত নুরুচ্ছফার পুত্র।
বাদি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন শহিদুল ইসলাম।
হত্যা মামলার বাদি হামিদা আক্তার জানান, গত ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী সকাল ৭টার দিকে ফেরদৌস বাহিনীর সহায়তায় হোয়ানকের লম্বাশিয়া এলাকায় তার স্বামী আবদুস সাত্তারকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় থানায় মামলা নেয়নি। অবশেষে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন। রিট পিটিশন নং-৭৭৯৩/১৭ মূলে ‘ট্রিট ফর এফায়ার’ হিসেবে গন্য করতে আদেশ দেন বিচারক। সেই আদেশের আলোকে তিনি একই বছরের ১৭ জুলাই কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে লিখিত দরখাস্ত দেন। কিন্তু পুলিশ আবেদন আমলে নেয় নি বলে জানান হামিদা আক্তার।
পুলিশ দাবি করেছে, নিহত আব্দুস সাত্তার অস্ত্র ব্যবসায়ী ছিলেন। এ ঘটনায় সেই সময় থানায় মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।