চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি

নাইক্ষ্যংছড়িতে আমান ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে উপজাতী নারীরা

প্রকাশ: ২০২০-০৮-১৬ ২২:২২:৫৪ || আপডেট: ২০২০-০৮-১৬ ২২:২৩:০০

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি|

পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় সোনালী আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষীরা। বাঙ্গালীদের পাশাপাশি এ চাষের কাজে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির একটি অংশ হচ্ছে চাক সম্প্রদায়।

পার্বত্য বান্দরবানের জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বড় একটি সংখ্যা রয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে চাক সম্প্রদায়ের পুরুষের পাশাপাশি মহিলারাও সকল কাজে সমান পারদর্শি। যেমন- সোনালী আমন চাষ, জুম চাষ, ব্যুরো চাষ, ভুট্টা চাষ, এমনকি এ পার্বত্য অঞ্চলে সরকারি চাকরী জীবিদের মধ্যেও পিছিয়ে নেই তারা।

গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছালামী পাড়ায় উপজাতী এক চাক পরিবারকে সহযোগীতা করতে এগিয়ে এসেছেন প্রতিবেশী এই নৃ-গোষ্টীর মহিলারা। রোপা আমন ধানের ছারা রোপনে পুরুষদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা।

দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সদা প্রস্তুত বলে জানান, মা নুং চিং চাক, লাইচিনু চাক, ছাইএচিং চাক, প্লে চাক, ওয়ানচিং চাক সহ অনেকে। তাদের সাথে কথা বললে তারা এই প্রতিবেদককে জানান, এমন কোন কাজ নেই তারা করতে পারে না। দেশ এবং সংসারের স্বার্থে সব কাজ করতে প্রস্তুুত তারা।

বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন প্রজাতীর চাষাবাদের পাশাপাশি ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা করাতে বেশী আগ্রহী তারা। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশে একমাত্র এই নৃ-গোষ্টির সংখ্যা ৫ হাজার ৫ শত থেকে ৭ শত। তাদের বসবাস পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়ন, দোছরী ও বাইশারীতে। তারা সংখ্যালগু নৃ-গোষ্টি হওয়ায় পড়ালেখা করে সরকারি চাকরীকেই প্রধান্য দিচ্ছে বলে জানান, মধ্যম চাক পাড়ার বাসিন্দা ও হেড়ম্যান বাছাচিং চাক।

তিনি আরো জানান, তাদের বসবাস উপজেলা সদর থেকে বেশ কিছু দূরবর্তী হওয়ায় তাদের সন্তানাদিকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করায় মনযোগী। তাই স্কুল চলাকালে প্রতিদিন ৫-৭ মাইল পথ পায়ে হেঁটে সকাল ৭টা থেকে উপজেলা সদরে গিয়ে ক্লাস করেন শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে তাদের সরকারি চাকরীজীবির সংখ্যা প্রায় ১২%।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার কৃষি অফিসের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মংচিংথোয়াই চাক জানান, আমরাই একমাত্র বাংলাদেশে উপজাতিদের মধ্যে সংখ্যালগু। তাই নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে আমরা সময়কে অপচয় করতে রাজি নই।

বিশেষ করে ছেলে-মেয়েদের পড়া লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন কাজে উদ্বুদ্ধ করায় সাফল্যও আসছে আমাদের।

সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সেক্টরে আমাদের এই নৃ-গোষ্টি চাকরীজিবী রয়েছে। আগামীতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ঘোষণা মতে আমাদের প্রতি ঘরে ঘরে সরকারি চাকরীজিবী হবে এই প্রত্যাশা করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *