চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

কাইছার হামিদ

শীর্ষ দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানি নেমেছে অর্ধেকে

প্রকাশ: ২০২০-০৯-২০ ০০:৩৮:০৮ || আপডেট: ২০২০-০৯-২০ ০০:৩৮:১৪

করোনার কারণে এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে  শীর্ষে থাকা ৯টি দেশেই বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে অর্ধেকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন চিত্র।

জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, স্পেন, নেদারল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডা ও বেলজিয়ামের মত শীর্ষে থাকা
দেশগুলোতে তিন মাসে পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৩৮৪ কোটি ৫৪ লাখ ডলার আয় করেছে। এর মধ্যে এই ৯টি দেশেই রফতানি হয়েছে ৩০৪ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। যা বছরের শুরুরে তিন মাসের তুলনায় অর্ধেক।

যদিও এই তিন মাসে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি তৈরি পোশাক রফতানি করেছে জার্মানিতে। পরের তিন মাসে অর্থাৎ (এপ্রিল থেকে জুন) করোনাকালীন তিন মাসে জার্মানিতে পোশাক রফতানি অর্ধেকে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে আরও জানা যায়, জানুয়ারি থেকে মার্চ এই তিন মাসে জার্মানিতে পোশাক রফতানি হয়েছিল ১৪৬ কোটি ২০ ডলার। কিন্তু করোনাকালে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে জার্মানিতে মাত্র ৬৭ কোটি ৯০ লাখ ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। অর্থাৎ তিন মাসে জার্মানিতে পোশাক রফতানি কমেছে ৭৮ কোটি ২৪ লাখ ডলার।

পোশাক রফতানির দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে রফতানি হয়েছে মাত্র ৭৭ কোটি ডলার। যদিও আগের তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানি হয়েছিল ১৩৯ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। অর্থাৎ করোনাকালে রফতানি কমেছে ৬২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানির তথ্য সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান ওটেক্সার (অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল) হিসাব অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত এই সাত মাসে দেশটির পোশাক আমদানি কমেছে প্রায় ৩১ শতাংশ। এর ধাক্কা লেগেছে দেশটিতে রফতানিকারক প্রায় সব দেশেই। ওটেক্সার হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের সাত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রফতানি কমেছে ১৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি হয়েছে ২৯০ কোটি ৫৩ লাখ ডলারের। আগের বছরের একই সময়ে দেশটিতে রফতানির পরিমাণ ছিল ৩৫৬ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের পোশাক পণ্য। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, পোশাক রফতানির তৃতীয় শীর্ষ দেশ যুক্তরাজ্য। এই দেশে করোনাকালে (এপ্রিল থেকে জুন) মাত্র ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ ডলারের পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশ।

আগের তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) বাংলাদেশ পোশাক রফতানি করেছিল ৯৫ কোটি ১৭ লাখ ডলার। অর্থাৎ করোনাকালের তিন মাসে যুক্তরাজ্যে পোশাক রফতানি কমেছে ৫৮ কোটি ২০ লাখ ডলার। শীর্ষ চারে থাকা স্পেনে করোনাকালীন সময়ে পোশাক রফতানি হয়েছে ২০ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। তার আগের তিন মাসে দেশটিতে রফতানি হয়েছিল ৬০ কোটি ১৩ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে করোনাকালীন তিন মাসে নেদারল্যান্ডসে পোশাক রফতানি হয়েছে ১১ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। আগের তিন মাসে এই দেশটিতে পোশাক রফতানি হয়েছিল ২৫ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। ফ্রান্সে করোনাকালীন সময়ে পোশাক রফতানি হয়েছে ২৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। তার আগের তিন মাসে দেশটিতে রফতানি হয়েছিল ৩৯ কোটি ৯৮ লাখ ডলার।

ইতালিতে করোনাকালীন সময়ে পোশাক রফতানি হয়েছে ১৯ কোটি ডলার। তার আগের তিন মাসে দেশটিতে রফতানি হয়েছিল ৩২ কোটি ১১ লাখ ডলার। কানাডায় করোনাকালীন সময়ে পোশাক রফতানি হয়েছে ১৩ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। তার আগের তিন মাসে দেশটিতে রফতানি হয়েছিল ২৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলার।

বেলজিয়ামে করোনাকালীন সময়ে পোশাক রফতানি হয়েছে ৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। তার আগের তিন মাসে দেশটিতে রফতানি হয়েছিল ১৫ কোটি ১০ লাখ ডলার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *