admin
প্রকাশ: ২০২১-০২-০২ ১৩:৩২:৩৭ || আপডেট: ২০২১-০২-০২ ১৩:৩২:৪৪
কাইছার হামিদ|
এবার নগরী এবং চট্টগ্রামের উপজেলার টিকাদান কেন্দ্রেগুলোতে যাচ্ছে করোনা ভ্যাকসিন। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম জেলার জন্য আসা ৪ লাখ ৫৬ হাজার ডোজ টিকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই কোল্ডরুমে ওয়ার্ক ইন কুলারে সংরক্ষিত রয়েছে। টিকা পাওয়ার একদিনের মাথায় তা গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে দিতে প্রস্তুত করা হয়েছে তালিকা।
যাতে শুধুমাত্র নগরীর ১৫ কেন্দ্রের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯০৫ ডোজ ভ্যাকসিন। বাকি ৩ লাখ ১ হাজার ৯৫ ডোজ টিকা দেয়া হবে ১৪ উপজেলায়।
উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডোজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে পটিয়ায়। এ উপজেলায় দেয়া হয়েছে সাড়ে ৩১ হাজারের বেশি ভ্যাকসিন ডোজ। ভ্যাকসিনের পাশাপাশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সিরিঞ্জও। এসব টিকাদানে বরাদ্দ দেয়া হয় পাঁচ লাখ সিরিঞ্জ।
গতকাল সোমবার রাতে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি ও চসিকের করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কমিটির সদস্য সচিব ও চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত রবিবার ভোরে টঙ্গীর সেন্ট্রাল ওয়ারহাউজ থেকে বেক্সিমকোর নিজস্ব পরিবহনে আসে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ডোজ ভর্তি ৩৮ কার্টুন। যা সকাল ৭টা ১০ মিনিটে সাথে সাথেই ইপিআই কোল্ড রুমে ওয়ার্ক ইন কুলারে সংরক্ষণ করা হয়। ভ্যাকসিন পাওয়ার একদিনের মাথায় টিকাদানের জন্য নির্ধারিত কেন্দ্রেগুলোতে বিতরণ তালিকা প্রস্তুত করা হয়। যা এ সপ্তাহের মধ্যেই কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয়ভাবে বিতরণের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। তালিকা হাতেও পেয়েছি। পরবর্তী নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই তা উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া হবে। আশা করছি- ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই তা পৌঁছাতে সক্ষম হবো। ভ্যাকসিনের পাশাপাশি বিতরণ করা হবে সিরিঞ্জও। তারও তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি’।
এদিকে, নগরীর জন্য ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯০৫ ডোজ টিকা বরাদ্দ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, ‘সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই কোল্ড স্টোরে থাকলেও, তা পরবর্তীতে চসিকের নিজস্ব কোল্ড স্টোরে নিয়ে আসা হবে। যা নির্ধারিত ১৫ কেন্দ্রে পাঠানো হবে। প্রাথমিকভাবে ১৫ কেন্দ্র নির্ধারণ করা হলেও প্রয়োজনে কেন্দ্রের সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে বলেও জানান তিনি’।
কোন উপজেলায় বরাদ্দ কত :
১৪ উপজেলা ও নগরী নিয়ে সর্বমোট ৪ লাখ ৫৬ হাজার ডোজ টিকা বিতরণ তালিকা নির্ধারণ করা হয়। যার মধ্যে আনোয়ারা উপজেলায় ১৫ হাজার ৫২৪ ডোজ, বাঁশখালীতে ২৫ হাজার ৮৪১ ডোজ, বোয়ালখালীতে ১৩ হাজার ৩৭২ ডোজ, চন্দনাইশ উপজেলায় ১৩ হাজার ৯৬৫ ডোজ, ফটিকছড়িতে ৩১ হাজার ৫২৫ ডোজ, হাটহাজারীতে ২৫ হাজার ৮৭৬ ডোজ, লোহাগাড়ায় ১৬ হাজার ৭৭৬ ডোজ, মিরসরাই উপজেলায় ২৩ হাজার ৮৯৬ ডোজ, পটিয়াতে ৩১ হাজার ৬৫১ ডোজ, রাঙ্গুনিয়ায় ২০ হাজার ৩১৭ ডোজ, রাউজানে ১৯ হাজার ৩৪৯ ডোজ, সন্দ্বীপ উপজেলায় ১৬ হাজার ৬৯৭ ডোজ, সাতকানিয়াতে ২৩ হাজার ৬২ ডোজ, সীতাকুণ্ডে ২৩ হাজার ২৪৪ ডোজ। নগরীতে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯০৫ ডোজ।