admin
প্রকাশ: ২০২১-০২-০৬ ২০:১৪:২৭ || আপডেট: ২০২১-০২-০৬ ২০:১৪:৩৪
বীর কণ্ঠ ডেস্ক|
দেশের সর্ববৃহৎ বধ্যভূমি পাহাড়তলী বধ্যভূমির সম্পূর্ণ ১.৭৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে গণহত্যা স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন পাহাড়তলী বধ্যভূমি রক্ষা পরিষদ।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় পাহাড়তলীতে আয়োজিত মানববন্ধ ও সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দীন, নাট্যব্যক্তিত্ব প্রদীপ দেওয়ানজী, রাশেদ হাসান, চবির অধ্যাপক হোসাইন কবির, প্রফেসর এবিএম আবু নোমান, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রামের কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক অলীক চৌধুরী, বিজয় ৭১’র সভাপতি লায়ন আরকে রুবেল, শাহাবুদ্দীন আঙুরী, শহীদ পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মো. রাউসুল হোসেন সুজা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণজাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক শরীফ চৌহান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘প্রামাণ্য দলিল মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম’ শীর্ষক বইতে দালিলিক প্রমাণ রয়েছে চট্টগ্রামে মোট ১১১টি বধ্যভূমি ছিল। দুঃখজনক হলেও সত্য যে এখন পর্যন্ত তার মধ্য থেকে একটি বধ্যভূমিও সরকারি উদ্যোগে সংরক্ষণ করা হয়নি।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, ১৯৯৯ সনে প্রজন্ম’৭১ এর সাথে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা উপস্থাপিত দাবির পক্ষে সকল জেলা প্রশাসককে আদেশ দিয়েছিলেন রায়ের বাজার ও পাহাড়তলী বধ্যভূমিসহ সকল বধ্যভূমি সংরক্ষণের। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় রায়ের বাজার বধ্যভূমি সংরক্ষণ হলেও নানান ষড়যন্ত্রে অদ্যাবধি পাহাড়তলী বধ্যভূমি সংরক্ষিত হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পাহাড়তলী বধ্যভূমি সংরক্ষণের প্রক্রিয়া শুরু হলে জমি অধিগ্রহণের ৯৮ লাখ টাকা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের বরাবরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রেরণ করে।
জমির মালিককে অধিগ্রহণের জন্য তিনবার নোটিশ প্রেরণ করা হলে ইউ.এস.টি.সি’র প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর প্রয়াত নূরুল ইসলাম মামলা করেন। কারণ তিনি স্বল্পমূল্যে ওই জমি ক্রয় করে ইউ.এস.টি.সি.’র আওতায় “জিয়া ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন” বিল্ডিং তৈরি করেছেন। পরে ২০০১ সনে স্বাধীনতা বিরোধীজোট সরকার ক্ষমতায় এলে এই প্রকল্প বাতিল করে এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ অর্থ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন থেকে ফিরিয়ে নেয়। জোট সরকারের নির্দেশে ও ইউ.এস.টি.সি’র যোগসাজসে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিবেদন দেয় যে। স্থানটি বন্ধ্যভূমি নয়- (পূর্বে এটি একটি ছড়া ছিল) তাই সেখানে ইউ.এস.টি.সি. একটি স্থাপনা করে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ বা আওয়ামী লীগ সরকার যে প্রকল্প নিয়েছিল তা বাতিল হবার পর ইউ.এস.টি.সি কর্তৃপক্ষ পুনরায় “জিয়া ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন” বিল্ডিং তৈরি শুরু করে। ২০১২ সালে এই উদ্যোগেরই বিরুদ্ধে প্রফেসর ড. জাফর ইকবাল, প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিন, প্রফেসর ড. মুনতাসির মামুন প্রমুখ হাইকোর্টে একটি রিট করেন।