চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin

তুচ্ছ ঘটনায় কালাম হত্যা

প্রকাশ: ২০২১-০২-০৮ ১৭:৪৪:২৭ || আপডেট: ২০২১-০২-০৮ ১৭:৪৪:৩৩

ডেস্ক রিপোর্ট|
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে আবু কালাম নামে এক যুবককে। ঘটনার ছয় ঘণ্টার মাথায় হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফরহাদ হোসেন রুবেল নামে (২০) এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ।  তার কাছ থেকে একটি  টিপ ছোরাও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি-ওই ছুরি দিয়ে কালামকে হত্যা করা হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে গ্রেপ্তার রুবেল মাদকসেবী।  কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা জানান, কথা কাটাকাটির মতো তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে হত্যাকা- সংগঠিত হয়েছে। কালামকে প্রথমে ছুরিকাঘাত করা হয়। আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। ঘটনার ছয় ঘণ্টার মাথায় কালাম মারা যায়।

এ ঘটনায় নিহত কালামের মা মর্জিনা বেগম (৪৫) বাদি হয়ে সদরঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলায় ফারহাদ হোসেন রুবেল নামে এক যুবককে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গতকাল রবিবার বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে রুবেল। তিনি নরসিংদীর রায়পুরা থানার মীরের কান্দি বাড়ির শুক্কুর আলী ভান্ডারীর ছেলে। নগরীর ডবলমুরিং থানার আসকারাবাদ মিস্ত্রি পাড়ায় থাকেন তারা। ছুরিকাঘাতের ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ফরহাদ হোসেন ওরফে রুবেল জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত আনুমানিক সাড়ে বারোটায় বন্ধু ইমন, আনোয়ার ও সাগর মিলে ডিটি রোডের রেলবিটে বসে মাদক (গাঁজা)  সেবন করছিলো। এ সময় কালাম রেলবিট ধরে হেঁটে আসছিলো। তাকে লক্ষ্য করে টর্চ মারলে সে কথা কাটাকাটি করে। এরমধ্যে আড্ডায় থাকা তিন বন্ধু চলে যায়।

ফরহাদ বলেন, বাসায় ফেরার পথে রাত দেড়টার দিকে ডিটি রোডের রেলওয়ে  মার্কেটের ইউনুস কোম্পানির ওয়ার্কসপ গলির ভেতরে কালামের সাথে ফের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে কালামকে বুকের বামপাশে উপুর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় ফরহাদ।
নিহত কালামের মা মর্জিনা বেগম জানান, তার ছেলের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। ভোরের দিকে কালাম মারা যায়।

সহকারী পুলিশ সুপার নোবেল চাকমা জানান, ভোরেই ফরহাদকে মিস্ত্রি পাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সদরঘাট থানায় ২০১৮ সালে দুটি ও ডবলমুরিং থানায় ২০১৯ সালে একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ঘটনার সময় সে নেশাগ্রস্ত ছিলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *