admin
প্রকাশ: ২০২২-০৬-১৪ ২২:৫৮:২৭ || আপডেট: ২০২২-০৬-১৪ ২২:৫৮:২৯
ডেস্ক রিপোর্ট| চট্টগ্রামে সংগীত শিল্পীর বিরুদ্ধে ব্যতিক্রমী এক রায় দিয়েছে আদালত। সহকর্মীর বিরুদ্ধে কটূক্তি করায় মানহানির একটি মামলায় ফাহমিদা রহমান নামে এক সংগীত শিল্পীকে ব্যতিক্রমী সাজা দিয়েছেন আদালত। ওই শিল্পীকে ছয়মাসের কারাদণ্ডের বদলে সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনা বেতনে ছয়মাস পর্যন্ত গান শেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম তার উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
এছাড়া আসামিকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে আসামির গাওয়া দুইটি গানের সম্মানি (টাকা) নিয়ে সে টাকায় কবি নজরুল ইসলাম বা তাঁকে নিয়ে লেখা বই জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রদান করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
দণ্ডপ্রাপ্ত ফাহমিদা রহমান বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী। তিনি চট্টগ্রাম ওয়াসায় কর্মরত রয়েছেন।
এ মামলার বাদী ছিলেন কণ্ঠশিল্পী আলাউদ্দিন তাহের। বাদীর আইনজীবী মো. কামরুল আযম চৌধুরী টিপু বলেন, আসামি একজন মহিলা এবং সংগীত শিল্পী। তাই তাঁকে ছয়মাসের কারাদণ্ডের বদলে ছয়মাস পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে গান শেখানো, পরবর্তীতে টেলিভিশনে গাওয়া দুটি গান ফ্রিতে গাইতে হবে বা অর্জিত সম্মানীর টাকায় বই কিনে শিল্পকলায় প্রদান করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসব কর্ম সম্পাদন হয়েছে কিনা তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আদালতকে জানাতে হবে। আসামি শর্ত ভঙ্গ করলে আদালত আসামিকে কারাদণ্ডের আদেশ দিতে পারবেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে তৎকালীন তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে দেখা করেন চট্টগ্রামের শিল্পীরা। সেখান থেকে বের হওয়ার পর সার্কিট হাউস চত্ত্বরে বেতার টেলিভিশনের আরেক শিল্পী আলাউদ্দিন তাহেরকে প্রকাশ্যে কটুক্তি করেন ফাহমিদা। ১৩ ফেব্রুয়ারি একটি প্রথম সারির নিউজপোর্টাল ও একটি স্থানীয় দৈনিকে আলাউদ্দিন তাহেরের নামে মিথ্যে বক্তব্যে উপস্থাপন করেন।
এতে বলা হয়, আলাউদ্দিন তাহের বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রে সংগীতে দুর্নীতির মাধ্যমে এক বছরে তিনটি গ্রেডেশন নিয়েছেন। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ফাহমিদার বিরুদ্ধে আলাউদ্দিন তাহের আদালতে মামলা করেন।
পরের বছর ২০ ফেব্রুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর আদালত আসামির বিরুদ্ধে ছয়মাসের কারাদণ্ডের বদলে ছয়মাস পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে কারাগারের বাইরে থেকে সাজাভোগ করার এ রায় দেন।