admin
প্রকাশ: ২০২২-০৬-১৪ ২৩:১০:৩৫ || আপডেট: ২০২২-০৬-১৪ ২৩:১০:৩৭
আদালত রিপোর্টার|চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রিদুয়ানুল হক সুমনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। একটি অস্ত্র মামলায় এ পরোয়ানা জারি হয়।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) চট্টগ্রামের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আজিজ আহমদ ভূইয়ার আদালত এ পরোয়ানা জারি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দায়রা জজ আদালতের পেশকার সমীরণ দাশ।
তিনি জানান, অস্ত্র মামলায় রিদুয়ানুল হক সুমনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণের পর থেকে তিনি একবারও আদালতে হাজির হননি।
আদালতে সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি সাতকানিয়া থানার একটি হত্যার মামলার সূত্র ধরে ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি আমিরাবাদ হোটেলের সামনে থেকে মিজানুর রহমান ও মোক্তার হোসেন নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই সময় আসামিদের কাছ থেকে একটি এলজি, রেড গ্রিন সিলভার লেখা ২টি বোমা, ৫টি চকলেট বোমা, দুই রাউন্ড কার্তুজ ও দেড় লিটার অকটেনসহ একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা জব্দ করে। পরে মিজানুর রহমান ও মোক্তার হোসেন ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন।
আদালতে তাঁরা স্বীকার করেন রিদুয়ানুল হক সুমনের নেতৃত্বে এলাকায় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ রয়েছে। এই গ্রুপের অন্য সদস্যরা হলেন মিজানুর রহমান, মোক্তার হোসেন ও মোহাম্মদ শহিদ। এরা এলাকায় ছিনতাই, মারামারি, জমি দখল, হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপরাধ করে আসছিল। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা দেশীয় এলজি ৮ হাজার টাকায় শহীদ নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের রিদুয়ানুল হক সুমনের কাছ থেকে কিনে নেয়।
এছাড়াও মামলার অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, এই অস্ত্র ব্যবহার করে ২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭ টায় উপজেলার পূর্ব গাটিয়াডাঙ্গা খন্দকার পাড়ার গোলতাজ বেগমকে গুলি করে হত্যা করে। গোলতাজ সম্পর্কে আসামি মোক্তার হোসেনের চাচী। এই হত্যাকাণ্ডে মিজানুর রহমান ও মোক্তার হোসেনের সংশ্লিষ্টতা উঠে আসে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে তারা ওই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেন। এ ঘটনায় তদন্ত শেষে একই বছরের ১০ এপ্রিল ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করে পুলিশ।