admin
প্রকাশ: ২০২২-০৭-২৭ ১২:১৮:৫৬ || আপডেট: ২০২২-০৭-২৭ ১২:১৮:৫৮
নিজস্ব প্রতিবেদক|
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় তাঁর স্ত্রী চুমকি করণকে ২১ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুন্সি আব্দুল মজিদ এ রায় ঘোষণা করেন। একই আদেশে আদালত তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দুজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন। আদালত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২০ বছর। তাঁর স্ত্রীকে ২১ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন।’
মামলা দায়েরের পর প্রদীপ কুমারের স্ত্রী চুমকি করণ পলাতক ছিলেন। গত ২৩ মে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। অন্যদিকে প্রদীপ কুমার দাশ মেজর সিনহা হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় তাঁরা দুজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তাঁর স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে ততকালীন দুদক চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারি পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন মামলাটি দায়ের করেন। দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১), মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই মামলায় গত ২৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ওই মামলায় গত ১৮ জুলাই আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ আদালত রায় ঘোষণা করেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, ৪৫ ভরি সোনা, একটি করে কার ও মাইক্রোবাস, ব্যাংক হিসাব এবং কক্সবাজারের একটি ফ্ল্যাটের মালিক প্রদীপের স্ত্রী চুমকি করণ। তাঁর ৪ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকার। তাঁর ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের সত্যতা পেয়েছে দুদক।
এ ছাড়া চুমকি নিজেকে মৎস্য ব্যবসায়ী দাবি করলেও তার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।