admin
প্রকাশ: ২০২২-১০-২০ ০০:০৯:৫৬ || আপডেট: ২০২২-১০-২০ ০০:১০:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক|
তিনবছর আগে মিথ্যা মামলা দিয়ে হাজতবাস, হয়রানি ও মারধরের অভিযোগে চট্টগ্রামের বন্দর থানার সাবেক ওসিসহ ছয়জনের নামে মামলা হয়েছে। বুধবার (১৯ অক্টোবর) চতুর্থ মহানগর হাকিমের আদালতে এ মামলা করেন কামরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি।
এতে অভিযুক্তরা হলেন- বন্দর থানার সাবেক ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ, উপপরিদর্শক রবিউল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক কে এম জান্নাত সজল, কনস্টেবল মঙ্গল বিকাশ চাকমা ও দিশা ফাউন্ডেশন নামে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. জামাল ফরাজী ও তাঁর ভাই মো. মিলন ফরাজী। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জন পুলিশ সদস্যকে এই মামলায় আসামি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জুয়েল দাস। তিনি বলেন, আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) নির্দেশনা দিয়েছেন।
মামলার বাদি কামরুল বলেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাকে পুলিশের হয়রানির প্রতিকার চেয়ে ২০১৯ সালে পুলিশ কমিশনার ও আইজিপি বরাবর আবেদন করেছিলাম। আমি ভেবেছিলাম ন্যায়বিচার পাব। কিন্তু অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় আজ মামলাটি দায়ের করেছি। আমাকে চুরি, ডাকাতি ও মাদকের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে চার দিন জেল খেটেছি। পরবর্তীতে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় সবগুলো মামলা আদালত খারিজ করে দেন।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালে দিশা ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানে বাদীসহ তাঁর পরিচিত ৩০-৩৫ জন মাসিক হারে সঞ্চয় খোলেন। ২০১৬ সালে গ্রাহকদের সঞ্চয় নেওয়া বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এ সময় গ্রাহকেরা প্রতিষ্ঠানটির নির্ধারিত অফিসে গিয়ে বন্ধ পান। পরে গ্রাহকের পাওনা প্রায় ৩ লাখ টাকা সঞ্চয় ফেরত না দিয়ে গ্রাহকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে থাকে আসামিরা। এই ঘটনায় আদালতে মামলা দায়েরের পর আসামিদের বিরুদ্ধে বাদীকে বিভিন্ন সময় হয়রানির অভিযোগ আনা হয়েছে।