চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

admin

চুনতিতে সরকারি গাছ কর্তন , সেই ইউপি সদস্যেকে হন্য হয়ে খুঁজছে পুলিশ|বীরকণ্ঠ

প্রকাশ: ২০২৩-০৩-২৭ ০৩:৪৩:৪৮ || আপডেট: ২০২৩-০৩-২৭ ০৩:৪৩:৫৪

লোহাগাড়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতিতে সরকারি জায়গা থেকে গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ায় আবুল কালাম প্রকাশ আবুলু (৫০) নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

২৩ মার্চ (বৃহস্পতিবার) চুনতি ইউনিয় ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ইদ্রিছ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

আবুল কালাম আবুলু ওই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের রোস্তমের পাড়ার মৃত আবদুর রশিদের পুত্র ও একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের আউলিয়া মসজিদের পাশে খাস খতিয়ানভূক্ত জায়গায় সরকারিভাবে সৃজিত বাগান পরিদর্শনে গিয়ে একাশিয়া গাছগুলো সুরক্ষিত অবস্থায় দেখতে পান।

পরদিন সকালে পুণরায় পরিদর্শনে গেলে বাগানে গাছ নেই, কিন্তু গোড়া বিদ্যমান রয়েছে। বাগানে ৪-৫ বছর বয়সী আনুমানিক ৩০০-৩৫০টি গাছ ছিল। যার আনুমানিক মূল্য দেড় লাখ টাকা।

পরে মামলার বাদী, উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো মিজানুর রহমান ও সাতগড় বনবিট কর্মকর্তা শাহ আলম হাওলাদার মিলে আশপাশের এলাকায় খোঁজাখুজি করেও কর্তনকৃত গাছগুলো পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন গাছগুলো ইউপি সদস্য আবুল কালাম কেটে নিয়েছে। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ফারুক আহমদ জানান, মামলা রুজুর পর ওই ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার পূর্বক আইনের আওতায় আনতে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানায়, আবুলু মেম্বার একমাস আগে এসব গাছ কেটে উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করে দিয়েছেন। এছাড়াও, তার বিরুদ্ধে আজিজ নগর ও চুনতি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের অধীনে বেশ ক’টি বনজ গাছ বাগান কাটারও অভিযোগ রয়েছে। চুনতি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের অধীনে সাতগড় মসকানিয়া এলাকার মৃত নূরুল আলাম মেম্বারের পাহাড়ের গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে। ফারাঙ্গা, নোয়ারবিল এলাকায়ও দুটি বনাঞ্চলের গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সে চুনতি রক্ষিত বন দখল করে বাড়ি নির্মান করে বর্তমানে বসবাস করছেন। পাহাড়ের মাটি ও খালের বালু অবৈধভাবে কেটে বিক্রি করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ওই এলাকার লম্বাশিয়ায় শেলো মেশিন দিয়েও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে সে। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কেটে নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে ২০১৬ সনে বন আইনে মামলাও হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে সে গ্রেফতার এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছে। তাকে হন্য হয়ে পুলিশ খুঁজছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *