admin
প্রকাশ: ২০২৩-০৪-০৪ ১৮:০৭:০৩ || আপডেট: ২০২৩-০৪-০৪ ১৮:০৭:০৯
আজ রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ দূর্ঘটনা ঘটে গেলো। মূহুর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনা বা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বলে আসে না। যেকোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড এবং নিভে যেতে পারে তরতাজা প্রাণ ও সহায় সম্পদ। তাই কোথাও আগুন লাগলে আশপাশে যারা থাকেন, তাদের উচিৎ আগুন নেভানোর যাবতীয় চেষ্টা অব্যাহত রাখার, আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করা ও মাসনুন দোয়া পড়া।
আগুন দেখে হতাশ না হয়ে আল্লাহর ওপর ভরসা করে তা নিভানোর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। অতঃপর আল্লাহর কাছে তা সহজে নির্মূলে দোয়া ও আমল করা জরুরি।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা যখন কোথাও আগুন (লাগতে) দেখো, তখন তোমরা (উচ্চস্বরে— আল্লাহু আকবার) তাকবির দাও। কারণ উচ্চস্বরে এই তাকবির আগুন নিভিয়ে দেবে।’ (তাবরানি)
এই (اَللهُ اَكْبَر) তাকবিরের অর্থ হলো হলো— আল্লাহ মহান।
ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘আগুন যত ভয়ংকর হোক না কেন, তাকবিরের মাধ্যমে তা নিভে যায়। আর আজানের মাধ্যমে শয়তান পলায়ন করে।
এ ছাড়াও পবিত্র কুরআনে বর্ণিত একটি আয়াত রয়েছে। যেটি পড়লে আগুন নেভাতে প্রভাব পড়ে, আগুনের ক্রিয়া নিস্তেজ হয়ে আসে। আয়াতটিতে হজরত ইবরাহিমকে (আ) আগুন যেন স্পর্শ না করে, সে নির্দেশ দিয়েছিলেন মহান আল্লাহ তায়ালা। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন—
يَا نَارُ كُونِي بَرْدًا وَسَلَامًا عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ
উচ্চারণ: ‘ইয়া না-রু কু-নি বারদান ওয়া সালামান আলা ইবরাহীম।’ অর্থাৎ ‘হে আগুন! তুমি ইবরাহিমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।’ (সুরা আম্বিয়া : ৬৯)