admin
প্রকাশ: ২০২৪-০২-০৬ ২৩:২৯:৪৭ || আপডেট: ২০২৪-০২-০৬ ২৩:২৯:৫২
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ও সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় সংরক্ষিত বনের দুই পাহাড়ে বাঁধ দিয়ে তৈরী করা হয় লেক। ন্যাচারেল লেক নামে পরিচিত এ লেকের বাঁধ গেল শনিবার কেটে দেয় বন বিভাগ। এ সময় নিন্মাঞ্চল মধ্যরাতে প্লাবিত হয়ে লোহাগাড়া – সাতকানিয়ার বেশ কিছু গ্রামে ক্ষয়ক্ষতি হয়।
জানা গেছে, সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবৈধভাবে প্রবেশ ও বন দখল করার অপরাধে ৪ টি মামলা করেছে বন বিভাগ। বড়হাতিয়া বিট কর্মকর্তা শামসুল হক বাদী হয়ে চট্টগ্রাম বন আদালতে বন আইনের ৩৩(১)ঘ এর ৩৩(১)৫ ধারায় মামলা করেন গেল সোমবার। ৪ টি মামলায় ১৫ জনকে আসামী করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বন বিভাগের দাবি, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর আইনি প্রক্রিয়া শুরু করলেও সাবেক সংসদ সদস্য (চট্টগ্রাম-১৫) আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভীর কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। এবার আড়াই হাজার একর দখলকৃত জায়গা উদ্ধার করে মামলাও করেছেন বনবিভাগ। তবে, মামলায় সাবেক সাংসদের নাম না থাকলেও তার একান্ত সচিব ও জেলা পরিষদ সদস্য এরফানুল করিম চৌধুরী নাম রয়েছে। অন্যান্য আসামীরা হলেন, মোহাম্মদ ভেট্টু, সাইফুল ইসলাম, শাহ আলম, খোরশেদ আলম, আব্দুর রহিম, নাছির উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, নজির আহমদ, লিটন, মন্জুর আলম, আব্দুল মোতালেব, আবুল কালাম ও মোরশেদ আলম।
এছাড়াও, পাহাড়ি ছড়ায় বাঁধ দিয়ে লেক সৃষ্টির ঘটনায় বনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে ৯ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে বন অধিদপ্তর।
গেলো সোমবার বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি গঠনের বিষয়টি জানানো হয়। কমিটিতে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাশকে সভাপতি ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুনকে সদস্য করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
কমিটির সদস্যসচিব ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বুধবার বেলা আড়াইটায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষকের কার্যালয়ে কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় কমিটির সদস্যরা কর্মপন্থা চূড়ান্ত করবেন।
সংরক্ষিত ও রক্ষিত বনে অবৈধভাবে বাঁধ দেওয়ার ফলে জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত বনকে কীভাবে পুনর্গঠন করে আগের প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা যায়, সেই বিষয়ে সুপারিশ করবে কমিটি এমন কথাও বলেন তিনি।