চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

admin

লোহাগাড়ায় পুটিবিলার পহরচাঁন্দা সড়কের বেহালদশা, চলাচলের অযোগ্য : দূর্ভোগে পথচারী

প্রকাশ: ২০১৭-০৯-২৫ ১৫:০৩:২১ || আপডেট: ২০১৭-০৯-২৫ ১৫:০৩:২১

নীরব জসীম, লোহাগাড়া অফিস : লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের পহরচাঁন্দা গ্রামের প্রধান সড়কটির চলাচলের আযোগ্য হয়ে পড়েছে। পহরচাঁন্দা বৌদ্ধ মন্দির থেকে গাবতল পর্যন্ত দীর্ঘ ২ কিলোমিটার পর্যন্ত কাঁচাসড়ক দিয়ে চলাচল করতে হচ্চে এলাকাবাসীর। চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনেক দেন-
দরবার করেও কোন প্রতিকার পায়নি। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে পহরচাঁন্দা স্টেশন থেকে ১ কিলোমিটার ব্রিক সলিন করা
হলেও বাকী ২ কিলোমিটার সড়কে এখনো কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
স্থানীয়রা জানায়, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার মানুষ চলাচল করে। এছাড়াও এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২ শত শিক্ষার্থী উপজেলার বিভিন্ন কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসায় যাতায়াত করছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় প্রতি বছর এলাকার অনেক শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনের অবসান ঘটছে। জরুরী ভিত্তিতে কোন রোগিকে উপজেলা সদরে আনতে সড়কের নাজুক অবস্থায় চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের। বর্ষাকালে এ সড়ক চলাচলের একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়ে। সড়কের এ অবস্থার কারণে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতেও পারছেন না। এতে কৃষকদের চরম ক্ষতির শিকার হতে হয় বলে তারা জানায়।
এ ব্যাপারে লোহাগাড়া পুটিবিলা সমাজ কল্যাণ পরিষদ’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বেলাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন হলেও আমাদের এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া এখনো স্পর্শ করতে পারেনি। লোহাগাড়া উপজেলার মধ্যে আমাদের এলাকাটি সবচেয়ে অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত। তিনি আরো বলেন, অনেক দেন-দরবার করে ২০১৩ সালে উক্ত সড়কের ১ কিলোমিটার ব্রিকসলিন করতে সক্ষম হয়েছিলাম। কিন্তু বাকী ২ কিলোমিটার রাস্তা এখনো কাঁচা রয়েছে। যার ফলে এলাকাবাসীর চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পহরচাঁন্দা বৌদ্ধ মন্দির থেকে গাবতল পর্যন্ত সড়কের ২ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক ব্রিকসলিন করে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানের জন্য চট্টগ্রাম- ১৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয়রা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *