চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin

লোহাগাড়ার প্রাইভেট হাসপাতাল নিয়ে ডাঃ ওমর ফারুক’র ব্যক্তিগত  মতামত

প্রকাশ: ২০১৭-১০-০৩ ১৭:০৯:৪৯ || আপডেট: ২০১৭-১০-০৩ ১৭:৫০:২৬

 

ডাঃ ওমর ফারুক :আমি লোহাগাড়ার সাধারণ নাগরিক হিসাবে লোহাগাড়ার প্রাইভেট হাসপাতাল গুলোর ব্যাপারে  আমার কিছু ব্যক্তিগত  মতামত প্রকাশ করছি।যদি আমার মতামত গুলো সঠিক মনে হয়,তাহলে এই মতামত গুলো নিয়ে চিন্তা করার অনুরোধ জানাচ্ছি ===

লোহাগাড়ার প্রাইভেট হাসপাতাল গুলোর ব্যাপারে প্রায় সময় ১টি কথা শুনা যায়, সেটা হল—ডাক্তারের ভূল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু। বিষয়টা সত্য কিনা মিথ্যা তা আমি বলতে পারব না। তবে  এখানে ডাক্তারের চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভূলের চেয়ে হাসপাতাল গুলোর ব্যবস্থাপনার ত্রুটিগত ভূল বেশী বলে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি।

#বি_দ্র.-আমি কিন্তু ডাক্তারদের ভূলে উর্দ্ধে বলতেছিনা।তাদেরও ভূল হতে পারে।তবে ভূলটা ইচ্ছাকৃত বা রোগীর প্রতি উদাসিনতা কিনা এইটা সব চেয়ে বড় বিষয়।

যেমন = ০১/একজন ডাক্তার শুধু একজন ডাক্তার নয়,সে একজন মানুষও বটে।তার ক্যাপাসিটি বা ধারণ ক্ষমতার একটি সীমা আছে।কিন্তু আমি লোহাগাড়ার প্রতিটি প্রাইভেট হাসপাতাল গুলোতে দেখে বা শুনে আসতেছি ==একজন ডাক্তার একবসাতে প্রায় ১০০/১৫০ রোগী দেখে আসতেছে। সে  যতই উর্বর মস্তিস্কের ডাক্তার হোক না কেন ,একটানা এত রোগী দেখে কোন ডাক্তারের পক্ষে মস্তিস্ক স্থির রাখা সম্ভব নয়।

তাই আগামীতে মস্তিস্ক স্থির রাখার স্বার্থে রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সম্মানীত চিকিৎসকগন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি পরামর্শ জানাচ্ছি। এবং ডাক্তারগনের প্রতি অতিরিক্ত রোগী দেখার জন্য চাপ সৃষ্টি না করার জন্য  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি পরামর্শ জানাচ্ছি।

#বি_দ্র.-যতই উর্বর মস্তিস্কের ডাক্তার হোক না,একটানা অনেক্ষণ ও অধিক রোগী দেখলে চিকিৎসায় ভূল হওয়ার ঝুকি থেকে যায়।

০২/ বিশ্বের  প্রতিটি হাসপাতালের মূল বাক্য থাকে “ প্রতিটি মুহুর্তই গুরুত্ত্বপূর্ণ”।

এমনিতে লোহাগাড়ার প্রাইভেট হাসপাতাল গুলোতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মচারী,ওয়ার্ডবয় ও নার্স নেই বললেই প্রায় চলে।তার উপর লোহাগাড়ার প্রতিটি প্রাইভেট হাসপাতাল গুলোতে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী,ওয়ার্ডবয় ও নার্স গুলোর আচরণ দেখে মনে হয়—হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে রোগী সেবা দানের উদ্দেশ্যে নয়, বরণছে  রোগীদেরকে বিনোদনের জন্য “জোকার” নিয়োগ করেছে।  তারা সব সময় দেখা যায় নিজেদের মধ্যে গল্প-টাট্টা ও ম্যাগা-সিরিয়াল দেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকে।

এইসব কর্মচারীদেরকে দৃঢ় ও কঠোর দায়িত্ত্বশীল হিসাবে গড়ে তোলার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি পরামর্শ জানাচ্ছি।

০৩/ লোহাগাড়ার প্রাইভেট হাসপাতাল গুলোতে কিছু একটা ঘটলে সর্বপ্রথম যে কাজটা করতে আমরা দেখে থাকি,সেটা হল –হাসপাতালের আসবারপত্র ভেঙ্গে দেওয়া।আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই বিষয়টা সমর্থন করি না। হাসপাতালের আসবারপত্র ভেঙ্গে দেওয়া কোন দিনই সমস্যা সমাধানের কাজ হতে পারে না।হাসপাতাল গুলো তো আইণের উর্দ্ধে নয়,হাসপাতালের ভূল হলে অবশ্যই আইণের আশ্রয় নেওয়া উচিৎ।যেমনটা গত কয়েক দিন আগে সাউন্ড হেলর্থ হাসপাতালের এক শিশু রোগীর অভিভাবক সিভিল সার্জেন সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায় করেছে।

এবং হাসপাতাল বিনা দোষে যদি আক্রান্ত হয়,সে ক্ষেত্রেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও আইণের আশ্রয় নেওয়া উচিৎ। অন্যতার আপনাদের ব্যাপারে জনগনের সন্দেহ বৃদ্ধি পায়। এবং হাসপাতাল গুলো মন্দিরের ঘন্টায় পরিনত হবে।যখন যার ইচ্ছা সে একটু একটু করে হলেও বাজিয়ে দেখবে।

#বি_দ্র.ঃআমি সব কিছু জানি বা বুঝি তা কিন্তু নয়,আমার দৃষ্টিতে যা মনে হল তাই

লিখলাম।

লেখক: হোমিওপ্যাথ ডাক্তার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *