চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

admin

পাইলসের রক্তক্ষরণ বন্ধ করবেন যেভাবে

প্রকাশ: ২০১৭-১০-২৩ ১৪:৫৭:৩১ || আপডেট: ২০১৭-১০-২৩ ১৪:৫৭:৩১

 

আমাদের দেশে একটি পরিচিত রোগ হলো পাইলস বা হেমোরয়েডস। এটি অস্বস্তিকর এবং অসহনীয় একটি সমস্যা। লজ্জার কারণে অনেকে এ রোগের কথা প্রকাশ করেন না।

 

 

 

এই রোগ নিয়ে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। বরং আমাদের দেশে অনেকেই পাইলস নিয়ে ভুল চিকিৎসার শিকার হন। এতে রোগীর স্থায়ী সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

 

পাইলসের লক্ষণ

মোশনের সময় ব্যথা ছাড়া বা ব্যথাযুক্ত রক্তক্ষরণ, ব্যথা, ঘা হয়ে পুঁজ জমা, মলদ্বারে পচন ধরা, মলদ্বার সরু হয়ে যাওয়া, মলদ্বার বেরিয়ে আসা, মলাশয়ের ক্যানসারের আশঙ্কা থাকে।

 

কারণ

১. নিয়মিত শাক-সবজি বা কম আঁশযুক্ত খাবার না খেলে বা পানি কম পান করলে কোষ্টকাঠিন্যে দেখা দেয়। আর দীর্ঘদিন কোষ্টকাঠিন্যে ভুগলে পাইলস হতে পারে।

 

২. পায়ুপথে যৌনমিলনে অভ্যস্ততা পাইলসের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।

 

৩. গর্ভাবস্থার শেষের দিকে অনেকের পাইলস রোগটি দেখা দেয়। শিশুর গ্রোথের সঙ্গে মলদ্বারে চাপ পড়লে নারীর পাইলস হতে পারে।

 

৪. ফ্যাটি ও হাই প্লোটিনযুক্ত খাবার। যেমন- গরুর মাংস, চিজ, মাখন, ফ্রাইড, চকোলেট, আইসক্রিম, কোমল পানীয় ইত্যাদি বেশি খেলে পাইলস হতে পারে।

 

৫. অতিরিক্ত ওজনের কারণেও পাইলস হতে পারে।

 

প্রতিরোধ

১. প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজী ফলমূল আঁশযুক্ত খাবার যেমন- লাল আটা, লাল চাল গ্রহণ করুন। সারা দিনের কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে আঁশের অনুপাত ঠিক থাকতে হবে।

 

২. অস্বাস্থ্যকর ও তেল-মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।

 

৩. প্রতিনিনি দৈনিক তিন লিটার পানি পান করা।

 

৪. নিয়মিত মলত্যাগের অভ্যাস করতে হবে।

 

৫. নিয়মিত ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমানো।

 

৬. সঠিক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা করাতে হবে। এছাড়া কমোড ব্যবহার করা যেতে পারে।

 

৭. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। প্রয়োজনে প্রতিদিন শরীরচর্চার অভ্যাস গড়ে তোলা।

 

চিকিৎসা

রোগের তীব্রতার ওপর পাইলসের চিকিৎসা নির্ভর করে। প্রথমিক অবস্থায় ওষুধের ব্যবহার করা যেতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যথানাশক মলম সাপোজিটরি ও অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করা হয়। যদি পাইলস বেরিয়ে আসে বা জটিলতা দেখা দেয় তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে অপারেশন করানোই ভালো।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *