admin
প্রকাশ: ২০১৭-১০-৩০ ১৯:৩৩:২২ || আপডেট: ২০১৭-১০-৩০ ১৯:৩৪:০২
বীর কন্ঠ ডেস্ক:
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ দিতে গিয়ে এক নারীর মুখে মিয়ানমান সেনাবাহিনীর নির্যাতনের বর্ণনা শুনে কিছুক্ষণের জন্য আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া।
এ সময় তিন-চার মাস বয়সী এক রোহিঙ্গা শিশুকে কোলে তোলে আদর করেন তিনি। ওই শিশুর নাম মোবারক। বিএনপি চেয়ারপারসন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে এবং আল্লাহকে স্মরণ করতে বলেন।
উখিয়ায় দুপুর ১টার দিকে খালেদা জিয়া যখন শফিউল্লাহ কাটার ময়নারগোনা ক্যাম্পে পৌঁছান তার আগে থেকে সেখানে হাজারো রোহিঙ্গা অপেক্ষা করছিল ত্রাণ নিতে। বিএনপি নেত্রীর উপস্থিতিতে ঘিরে পুরো ক্যাম্পে তখন নেতাকর্মী, স্থানীয় মানুষ আর রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মিলে সমাবেশস্থলের রূপ নেয়। ভিড় ঠেলে খালেদা জিয়া ত্রাণ দেয়ার স্থানে পৌঁছেই অপেক্ষারত শরণার্থীদের মধ্যে ত্রাণ দেন। এ সময় বিএনপির শীর্ষ নেতারা তার পাশে ছিলেন।
ত্রাণ দেয়ার এক পর্যায়ে এক রোহিঙ্গা নারী মোবারকের মা মিয়ানমার সরকারের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। খালেদা জিয়া সেই বর্ণনা শুনে কিছুক্ষণের জন্য আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
বিএনপি প্রধান তাদের ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দেন এবং আল্লাহকে স্মরণ করতে বলেন।
পরে তিনি বক্তব্যে বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর যে ধরনের হামলা হয়েছে তা অমানবিক। তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মানুষ খুন করা হয়েছে। নারীদের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন করা হয়েছে। এসবই বিশ্ব গণমাধ্যমে এসেছে।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীরা যাতে নির্ভয়ে তাদের দেশে ফিরে যেতে পারে সেজন্য বিএনপি প্রধান মানবিকতার স্বার্থে বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতি ব্যবস্থা গ্রহণর আহ্বান জানান।
এরপর খালেদা জিয়া আরও তিনটি স্থানে নিজ হাতে ত্রাণ দেন। শেষে বালুকালী পানবাজারে বিএনপির তত্ত্বাবধায়নে ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব পরিচালিত রোহিঙ্গাদের জন্য অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করেন।
ত্রাণ বিতরণ শেষে বিকেল সোয়া চারটার দিতে কক্সবাজার সার্কিট হাউসে পৌঁছান। এখানে দুপুরের খাবার খেয়ে তিনি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের উদ্দেশ রওনা দেবেন। সেখানে রাত্রিযাপন শেষে মঙ্গলবার সকালে ঢাকার উদ্দেশ চট্টগ্রাম ছাড়বেন।-জাগো নিউজ