আলাউদ্দিন ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর
প্রকাশ: ২০১৯-০৫-২১ ০৩:৩৩:৪৯ || আপডেট: ২০১৯-০৫-২১ ০৩:৩৩:৪৯
সীতাকুন্ডের কুমিরা জেলে সম্প্রদায়ের জলদাশ পাড়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক নারী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশসহ অনন্ত ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। খবর- চট্টগ্রাম প্রতিদিন
সোমবার (২০ মে) রাত সাড়ে ১২টা কুমিরার ৭নং ইউনিয়নের ঘাটঘর এলাকার জেলে সম্প্রদায়ের জলদাস পাড়ায় সংঘর্ষের এ ঘটনায় পুলিশ অন্তত শতাধিক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে বলে জানা যায়।
নিহত নারীর নাম বেলাম্বু রানী জলদাস (৫৮) বলে জানা গেছে। তবে পুলিশি বাঁধার মুখে আহতদের চিকিৎসায় হাসপাতালে নিতে না পারায় নিহতের সংখ্যা বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ৩০ হাজার ইয়াবাসহ এক আসামীকে ধরতে গেলে পুলিশের সাথে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ বাধে। নিহতের বিষয়টি স্বীকার করে ওসি বলেন, একজন বৃদ্ধা হার্ট এ্যাটাকে মারা গেছেন। অবস্থা উত্তপ্ত বলে ওসি কথা বাড়াতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তবে গ্রামবাসী জানিয়েছে, সীতাকুণ্ড থানার এসআই জসিম উদ্দিনের জলদাশ পাড়ায় নিয়মিত চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। চাঁদা না দেয়ায় রাত ১২ টায় থানা পুলিশ রুবেল দাস নামে এক যুবকের সাথে কথা কাটাকাটি থেকে তাকে আটক করতে যায় এস আই জসিম। তখনই গ্রামবাসীর সাথে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। পরে সেই দ্বন্দ্ব সংঘর্ষে রূপ নেয়। নিহত বেলাম্বু রানী দাশ রুবেলের মা। ছেলেকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিতে গেলে পুলিশের আঘাতে তার মৃত্যু হয়।
রাত দুটো পর্যন্ত জলদাশ পাড়া পুলিশ ঘেরাও করে রাখার খবর পাওয়া গেছে। এতে আশঙ্কা করা হচ্ছে আহতদের চিকিৎসা করানো না গেলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
রাত ২ টা ১০ মিনিটে শেষ খবর পাওয়া পযর্ন্ত পুলিশ ঘটনাস্থল কুমিরা জলদাস পাড়া ঘেরাও করে রেখেছে। এতে আহতদের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হওয়ায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক হামিদ রাত ২ টা ৩০ মিনিটে জানান, ঘটনায় অনেকে আহত হওয়ার কথা শুনেছি, তবে এখনো আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়নি।