নীরব জসীম
ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর
প্রকাশ: ২০১৯-০৮-১৫ ০০:৪৬:৪২ || আপডেট: ২০১৯-০৮-১৫ ০০:৪৬:৪২
বঙ্গবন্ধু
– ঝিনুক জোবাইদা
অপূর্ব ভঙ্গিতে রিপভ্যান
উইঙ্কল
উঠে দাঁড়ালেন সিঁড়ির
গোড়ায়
টানটান বুক, হাতে সেই প্রিয়
হাভানা চুরুট,
সেই শাদা পাজামা পাঞ্জাবি।
তিনি জেগেছেন চারদশক
চার বছরের ঘুম থেকে,
জেগে উঠেছেন ভীষণ
হট্টগোলে।
কি ভীষন হট্টগোল!!
কি ভীষণ হাঁকডাক!!
চোখে ভর করেছে বিষন্ন ছায়া
কি যেন ভাবছেন
ভাবনার অতল গভীরে তিনি
চুরুটের আগুন নিভুনিভু।
বায়ান্ন, উনসত্তুর, একাত্তর,
পঁচাত্তর,
শতাব্দী ছাড়িয়ে উনিশ।
পেছন ফিরে দেখলেন থোক
থোক রক্ত
কিছু তার গড়িয়ে নামছে,
কিছু তার স্থির।
কিছু তার ফিনকি দিচ্ছে।
তিনি ভাবছেন
কি হলো এতো রক্তপাত,
এতো অবিশ্বাস , এতো
হীনমন্যতা চারপাশ!
এতো নষ্ট নষ্ট গন্ধ
আমি নাহয় ঘুমিয়েছিলাম
কিছু কাল।
তোমরা কি ছিলে না?
কেউ কি ছিলো না?
তিনি ভাবছেন, আজ এই
জন্মশতকে কারা যেন
ডাকলো-
তিনি কোথায় যাবেন
কই প্রিয়জনেরা কই।
কারা যেন ছিল চারিপাশ!!
অদ্ভুত আঁধার ঘিরে আছে
নগরীতে।
এই অদ্ভুত আঁধারে
তিনি যেন এক ফেরিওলা
স্মৃতি ফেরি করছেন।
তিনি কোথায় যাবেন,
এই নাগরিক কোলাহল
ছেড়ে?
বেশ তো ভালোই আছে সব
উড়ে যাওয়া ফ্লাইওভার, রেল
লাইন,
স্কুলবাড়ি, ভদ্রবেশী মানুষের
লেবাস
মোড়ে মোড়ে রেস্তোরাঁ,
সাজানো দোকানপাট,
বেশ তো আছে সব।
তবে কেন এতো কান্না কান্না
শব্দ,
কেন এতো বিষাদের সুর,
গুমরে কাঁদছে কারা?
ফুঁসে উঠছে কেউ?
দীর্ঘ যানজটে তিনি ঘামছেন ,
তিনি হাঁটছেন,
তিনি তাকালেন লুই ক্যানের
প্রাসাদের দিকে,
ওখানে কারা
তাদের কাজ এখানে নয়,
তারা জরীপ করুক মহল্লায়
মহল্লায়,
কিসের অভাবে ধুকছে তার
সন্তান।
কই শেরে বাংলা, কই
মাওলানা ভাসানী,
জরুরি মিটিং হোক
খুব জোরালো একটা মিটিং
ডাকা দরকার।
শুদ্ধতা চাই শুদ্ধতা
তিনি চিৎকার করে উঠলেন।
ততক্ষণে লজ্জিত, কুণ্ঠিত
দেবালয়
তিনি তাঁর জন্মশতকে
আকাশ পাতাল কম্পিত করে
ডাক দিলেন শুদ্ধতা চাই
শুদ্ধতা…