চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

এম মাঈন উদ্দিন মিরসরাই প্রতিনিধি

মিরসরাইয়ে মার্কেটের ছাদে মাদরাসা ছাত্রীকে গনধর্ষণ আটক-২, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার, থানায় মামলা

প্রকাশ: ২০১৯-০৯-০৪ ২০:৩৯:৫৯ || আপডেট: ২০১৯-০৯-০৪ ২০:৪০:০৮

মিরসরাই প্রতিনিধি :
মিরসরাইয়ে সহপাঠীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দুই বখাটের গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৪ বছর বয়সী এক মাদরাসা ছাত্রী। ঘটনায় জড়িত কলেজছাত্র আরিফ (১৯) ও ডায়াগনষ্টিক কর্মচারী পারভেজ আলম মাহিকে (১৯) গতকাল বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আটক করেছে মিরসরাই থানা পুলিশ।
তাদের আটকের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা তারা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে থানার ওসি জাহিদুল কবির। ধর্ষিতা কিশোরীর মা বাদি হয়ে এ ঘটনায় মিরসরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ জানায়, গত ২৯ আগস্ট বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মিরসরাই পৌরসভার করিম মার্কেটের ছাদে এক ছেলে সহপাঠীর সঙ্গে দেখা করতে যায় স্থানীয় লতিফিয়া কামিল মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী তনু (ছদ্মনাম)। এসময় তনুর ওই সহপাঠীকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় স্থানীয় মিরসরাই বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. আরিফ ও তার বন্ধু মার্কেটের ইনসাফ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের কর্মচারী পারভেজ আলম মাহি। পরে তনুকে তারা দুই বন্ধু মিলে মার্কেটের ছাদে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং এ ঘটনা কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি দেখায়।

মিরসরাই থানার ওসি জাহিদুল কবির ঘটনার আদ্যেপান্ত জানিয়ে জানান, সামাজিক সম্মানহানির ভয়ে ধর্ষণের ঘটনাটি চাপা রাখার চেষ্টা করে ওই মাদরাসা ছাত্রীর পরিবার। বুধবার মাদরাসার একটি কর্মশালায় উপজেলা তথ্য সংগ্রহ কর্মকর্তা আসমাউল হুসনা তুন্নিকে বিষয়টি জানায় ধর্ষিতা কিশোরী। পরে ওই কর্মকর্তা মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিনকে জানালে তিনি বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশকে জানান। পরে ওই মাদরাসা ছাত্রীর মা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে তাৎক্ষণিত থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দেবনাথ ও দীনেশ দাশ গুপ্ত অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরিফ ও মাহিকে আটক করে। আটকের পর তারা উভয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করার বিষয়টি পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরসরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দেবনাথ জানান, আটকের পর আরিফ ও মাহিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে। ধর্ষিতা কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *