চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

নীরব জসীম ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর

কেবিন ক্রুর শরীর থেকে ১০ কেজি স্বর্ণ জব্দ

প্রকাশ: ২০১৯-০৯-০৬ ০৮:২৬:২৫ || আপডেট: ২০১৯-০৯-০৬ ০৮:২৬:৩২

নিউজ ডেস্ক : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক কেবিন ক্রুর শরীর থেকে প্রায় ১০ কেজি স্বর্ণ জব্দ করেছে বিমানবন্দর এপিবিএন পুলিশ। এর বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। এ ঘটনায় গ্রেফতার কেবিন ক্রু রোকেয়া শেখ মৌসুমীসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে বিমানবন্দর থানায় স্বর্ণ চোরাচালান আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর দু’জন পলাতক রয়েছে। তারা হলেন- যাত্রী সুমন এবং এই স্বর্ণের মালিক লাকী আক্তার।

সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মাস্কট থেকে চট্টগ্রাম হয়ে বেসরকারি ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস ৩২২ ফ্লাইটটি শাহজালালে অবতরণ করে। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কাস্টমস কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল দিয়ে বের হন কেবিন ক্রু মৌসুমী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের সামনে গাড়িতে ওঠার সময় এপিবিএন পুলিশ তাকে চ্যালেঞ্জ করে। মৌসুমীকে বিমানবন্দরের কাস্টমস হলে নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার উপস্থিতিতে নারী কাস্টমস কর্মকর্তারা তার দেহ তল্লাশি করেন। এ সময় তার শরীরে সুকৌশলে লুকিয়ে রাখা ছয়টি প্যাকেটে ৮২টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়।

বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন্স অ্যান্ড মিডিয়া) আলমগীর হোসেন জানান, কেবিন ক্রু মৌসুমীর দেহ থেকে জব্দ করা স্বর্ণবারের ওজন ৯ কেজি ৫১২ গ্রাম। এর বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। তিনি জানান, মৌসুমী পেশাদার স্বর্ণ পাচারকারী। ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সে ডিউটির নামে বিদেশ থেকে চোরাকারবারিদের কোটি কোটি টাকার স্বর্ণবার পাচার করেন তিনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মৌসুমী পুলিশকে জানান, এর আগেও একইভাবে স্বর্ণবার নিয়ে বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল দিয়ে বের হয়েছেন তিনি।

পুলিশ জানায়, দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে এই স্বর্ণবার দেহে লুকিয়ে পাচারের চেষ্টা করেন মৌসুমী। তিনি পুলিশকে আরও জানান, একই ফ্লাইটে আসা যাত্রী সুমনের কাছ থেকে এই স্বর্ণবার নিজের হেফাজতে নেন। রাজধানীর মানিকদি এলাকায় বসবাস করেন মৌসুমী। তার গ্রামের বাড়ি জামালপুরে।

ঢাকা কাস্টমস হাউসের জয়েন্ট কমিশনার আরিফুল ইসলাম জানান, বিমানবন্দরে ১০ ভাগ যাত্রীর লাগেজ তল্লাশি করা হয়। এ ছাড়া গোপন সংবাদ ছাড়া বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের স্টাফ বা কেবিন ক্রুদের লাগেজ তল্লাশি করা হয় না। সূত্র জানায়, এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে একশ্রেণির কেবিন ক্রু চোরাকারবারিদের কোটি কোটি টাকার স্বর্ণবার নিয়ে বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল দিয়ে বের হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *