প্রকাশ: ২০১৯-০৯-১০ ২২:৫৭:৩০ || আপডেট: ২০১৯-০৯-১০ ২২:৫৭:৩৭
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের শিউলী রাণী স্বামীকে তালাক দিয়েও স্বামীর নির্যাতন থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না । তালাক দেয়ার পরও তালাকপ্রাপ্ত স্বামী সজল কান্তি শর্মা (৪০) ৪-৫জন সহযোগি নিয়ে তার বাপের বাড়িতে গিয়ে গুম ও হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে চকরিয়া উপজেলা বদরখালী ইউনিয়নের শহরিয়া শীলপাড়া গ্রামে ঘটে এঘটনা। শিউলী রাণী শীলের বৃদ্ধ পিতা বাবুল কান্তি শীল জানান, ২০১১ সালে ২১ নভেম্বর তার মেয়ে শিউলী রাণী শীলের সাথে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মগছড়াজুম নাথপাড়া এলাকার মৃত শ্রীধাম রায় শর্মা’র ছেলে সজল কান্তি শর্মা’র মধ্যে সনাতী ধর্মের বিধানমতে বিবাহ হয়। তাদের সংসারে মিথিলা শর্মা পূজা নামে সাত বছর বয়সী কন্যা সন্তান রয়েছে। বিবাহের পর জানতে পারি মেয়ের স্বামী মাদকাসক্ত ও জুয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। বিবাহের পর তার মাদকাসক্ত স্বামী শিউলীকে বিভিন্নভাবে মারধর ও নির্যাতন করতেন। কিন্তু তার মেয়ে স্বামীর দিকে তাকিয়ে নির্যাতনের কথা কাউকে জানাতো না। পরবর্তী সময়ে তার মেয়ের স্বামী সজল সৌদিয়া আরব চলে যায়। শিউলী রাণী শীল বলেন, স্বামী বিদেশে চলে যাওয়ার পর যৌতুকের জন্য শ্বাশুড় বাড়ির নির্যাতনের পরও মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে সংসারের হাল ধরিছিলাম। যৌতুকের দাবীতে আমাকে মারধর প্রায় সময় মারধর করতো দেবর ও শ্বাশুড়ী। তাদেরন এ নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে প্রবাসী স্বামী সজলকে মোবাইল ফোনে জানালে সেও উল্টো আমাকে হুমকি ধমকি দিয়ে এ কথা কাউকে না বলার জন্য শাসাতেন। অবশেষে স্বামীর কাছেও কোন বিচার না পেয়ে কন্যা পূজাকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যাই। প্রবাস জীবনের প্রায় ৭বছর পর সম্প্রতি সজল দেশে আসেন। কিছুদিন তার বাড়িতে থাকার পর বদরখালীস্থ শ্বাশুড় বাড়িতে আসে সজল। সেখানে নানা অজুহাত এনে সজল আমাকে মারধর ও নির্যাতন করার পর কয়েকদিন থেকে পূনরায় তার বাপের বাড়িতে চলে যায়। শিউলী রাণী শীল আরও বলেন, পরবর্তীতে স্বামীর অত্যাচার নির্যাতনে জীবন নিয়ে শঙ্কা থাকায় গত ২০ আগস্ট আমি আমার স্বামীকে তালাক দিই। কিন্তু তারপরও থেমে থাকি শ্বাশুড় বাড়ির লোকজনের হুমকি ধমকি। গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে বদরখালীস্থ আমার বাপের বাড়িতে গিয়ে সজল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমাদেরকে স্ব-পরিবারে হত্যা ও গুম করার হুমকি দিয়েছে। সজল ও সাঙ্গপাঙ্গদের অব্যাহত হুমকীর মুখে আমি আমার কন্যা পূজাকে নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছি। আমি এব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।