শংকর চৌধুরী খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০২০-০২-১৫ ১৯:০০:৫৪ || আপডেট: ২০২০-০২-১৫ ১৯:০১:০১
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :
পাহাড়ে মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আন্দোলন জোরদারের লক্ষ্যে হানাহানি-রক্তপাত বন্ধ করে বৃহত্তর ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) অংশের অনুসারীরা।
শনিবার সকালে জেলা শহরের মারমা উন্নয়ন সংসদ হলে আয়োজিত চারদিন ব্যাপী ১২তম জাতীয় সম্মেলন ও পার্টির ৪৮-তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উদে¦াধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।
এর আগে শহরের চেঙ্গী স্কয়ার থেকে র্যালি বের করে সংগঠনের নেতা কর্মীরা। পরে মারমা উন্নয়ন সংসদের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা এবং বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদে¦াধন করেন, পার্টির সহ-সভাপতি ও মহালছড়ি উপজেলার চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তাতিন্দ্র লাল চাকমা পেলে, কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা, যুব বিষয়ক সম্পাদক প্রণব চাকমা, রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক বিভু রঞ্জন চাকমা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কাকলী খীসা, পার্বত্য চট্টগ্রাম জুম্ম শরণার্থী কল্যাণ সমিতি’র সা: সম্পাদক সন্তোষিত চাকমা বকুল, দীঘিনালার হেডম্যান ত্রিদ্বীপ রায় পোমাং এবং দীঘিনালা কার্বারী এসোসিয়েশনের সভাপতি হেমব্রত কার্বারী প্রমুখ।
‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে সরকারকে আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, কেন্দ্রীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্বের হাত ধরে পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়নকে তরান্বিত করতে হবে জনসংহতি সমিতিকে। তাহলে পাহাড়ের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সংগঠনের সার্থকতা আসবে।
চারদিন ব্যাপী সম্মেলনে তিন পার্বত্য জেলা থেকে সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করে।
আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারী কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে শেষ হবে, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমার) জেএসএস’র ১২ তম জাতীয় সম্মেলন।