admin
প্রকাশ: ২০২০-০২-১৬ ১৪:৩৮:৩৮ || আপডেট: ২০২০-০২-১৬ ১৪:৩৯:৫৩
আব্বাস হোসাইন আফতাব, রাঙ্গুনিয়া :
ঢাকা থেকে স্বামী ফয়সাল স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে আসলেন কাপ্তাইয়ে। কিন্তু স্বামীকে নিয়ে আর ফিরতে পারলেন না । সড়ক দূর্ঘটনায় পথে প্রাণ গেল স্বামীর।
গতকাল শনিবার (১৫ ফেব্রয়ারি) রাত সাড়ে সাতটার দিকে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা -কদমতলী ইউনিয়নের বুইজ্জার দোকান এলাকায় সড়ক দূর্ঘটনায় আরো ৩ জন আহত হন। তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ,প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ফয়সাল তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে সকালে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে বেড়াতে আসেন। তাঁদের সাথে আরো বন্ধু তাহমিদ ও জাসিবা ভ্রমনসঙ্গী ছিলেন।
গতকাল শনিবার রাত ৭ টার দিকে কাপ্তাই থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে ফিরছিলেন তাঁরা। গাড়িটি চন্দ্রঘোনা -কদমতলী ইউনিয়নের বুইজ্জ্যার দোকান এলাকায় আসলে বিকল হয়ে যাওয়া দাঁড়ানো মালবাহী ট্রাকের সাথে ধাক্কা লেগে গাড়িটি উল্টে যায়। এতে গাড়ির ৪ জন গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় রাঙ্গুনিয়া হেলথ কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষনা করেন। আহত অন্য ৩ জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। রাত ৮ টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় পুলিশ দূর্ঘটনাকবলিত গাড়িটি থানায় নেয়ার জন্য প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। মো. আবদুর রহমান (৪৮) নামে এক ব্যক্তির সারা কাপড়ে রক্ত।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, দূর্ঘটনার সময় থানায় একটি অটোরিক্সায় ছিলেন। তাঁদের সবাইকে উদ্ধার করে গাড়িতে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
এসময় দায়িত্বরত রাঙ্গুনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক সুমন কুমার দে বলেন , “ ফয়সাল নামে একজন মারা গেছেন । তাঁকে হাসপাতাল থেকে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাঁর স্ত্রী আহত হয়েছেন। কিন্তু তাঁর নাম জানা যায়নি। আহত তাঁদের দুই বন্ধু চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাৎক্ষনিক জেনেছি।
সিএনজি চালিত অটোরিক্সার চালককে পাওয়া যায়নি।” ঘটনাস্থল থেকে রাঙ্গুনিয়া হেলথ কেয়ার হাসপাতালে গেলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মো. মুহিন উদ্দিন বলেন, “ নিহত ফয়সালের পেটের নাড়ি ভূড়ি বেরিয়ে গেছে। বুকেও আঘাত দেখা গেছে। তাঁর স্ত্রীর হাত ভেঙ্গে গেছে। অন্য দুইজনও মারাত্বক আঘাত পেয়েছেন। তাঁদের তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ”
হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, স্বামী মারা গেছেন স্ত্রী জানেন না। নিহত ফয়সাল ও আহতদের এক সাথে এ্যাম্বুলেন্সে পাঠানোর সময় মৃত্যু সনদ চালককে দিতে তিনি ওটা হাতে নিয়ে পড়তেই স্বামী মারা গেছেন জানেন। স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে স্ত্রীর কান্নায় পুরো এলাকা শোকাবহ হয়ে উঠে।