চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আব্দুল্লাহ মনির, টেকনাফ(কক্সবাজার) প্রতিনিধি

পাহাড়ে আবারো গুলিবর্ষণ: আতঙ্কে স্থানীয় ও রোহিঙ্গারা

প্রকাশ: ২০২০-০৩-০৪ ০৬:১৯:৫৩ || আপডেট: ২০২০-০৩-০৪ ০৬:২০:১৯


আব্দুল্লাহ মনির, টেকনাফ :

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার জাদিমোরার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ে ফের ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে ডাকাতরা। এতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশেপাশের স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাহাড়ে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে । এ ঘটনায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশেপাশের স্থানীয় লোকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

রোহিঙ্গারা জানায়, মঙ্গলবার সাড় ১২টার দিকে জকির ডাকাতসহ একটি অস্ত্রধারী দল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এডরা পাহাড়ে অবস্থান করে। পরে সেখান থেকে নেমে র‌্যাবের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনাস্থলে এসে বেশ কিছু গুলিবর্ষণ করে।

এসময় আশপাশের লোকজন ভয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে পরে। এতে পুরো ক্যাম্প জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। ক্যাম্পের কিছু খারাপ লোকজন তাদের সোর্স হিসেবে কাছ করছেন। এর ফলে ক্যাম্প ও স্থানীয় বসবাসকারীরা চলাচল সীমিত করে দিয়েছে।

টেকনাফ শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক মাঝি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, পাহাড়ে ছড়ার পাশে যে ঝুপড়ি ঘর রয়েছে সেখানে জকির ডাকাত বাহিনীর সদস্যরা আশ্রয় নিতো। তারা কয়েকদিন পর পর সেখানে এসে থাকতো। তবে সেখানে সাধারণ কাউকে যেতে দিতো না।

মাঝে মধ্যে আশপাশের লোকজন সেই ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ পেতো। কিন্তু ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস পায়নি। কেননা, তারা ধর্ষণ, খুন ও মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করতো না। এই ক্যাম্পের বেশিরভাগ মানুষ ডাকাতদের বিরুদ্ধে অভিযানের ঘটনায় খুশি হলেও ভয়ে বলছে না।

শালবাগান ক্যাম্পের ওসমান জানান, মিয়ানমার থেকে নির্যাতন হয় বাংলাদেশে এসেছি বেশ কিছুদিন ধরে ভালোভাবে দিন কাটাতে পারলেও ইদানিং কিছু রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের প্রতিনিয়ত গোলাগুলি, ডাকাতি, অপহরণসহ তাদের নানা অপকর্মের কারণে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে ।


তিনি দুঃখ প্রকাশ করে আরও বলেন, ডাকাত দলের মূল হোতারা যতদিন পর্যন্ত আইনের আওতায় না আসবে ততদিন পর্যন্ত অত্র এলাকার সাধারণ মানুষ ও রোহিঙ্গারা ডাকাতদের কবল থেকে রক্ষা পাবে না।

রোহিঙ্গা আবদু রহিম বলেন, ‘এই ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে জাকির ডাকাতের শক্ত অপরাধ নেটওয়ার্ক রয়েছে। পুরো ক্যাম্পের মানুষ তার কাছে জিম্মি হয়ে আছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি একটু শান্ত হতে পারে। আবার জকির অধরা থাকায় অনেকে ভয়ে রয়েছে। এখানকার পরিবেশে শান্ত করতে হলে তাকে গ্রেফতারের বিকল্প নেই।’

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ সিপিসি-১ ক্যাম্পের ইনচার্জ মির্জা শাহেদ মাহাতাব বলেন, ‘জকির ডাকাতসহ একটি দল পাহাড়ে গুলি বর্ষণের খবর রোহিঙ্গাদের কাছে শুনেছি। ডাকাতদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান চলছে এবং অপরাধী যেই হোক না কেন তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *