চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

প্রদীপ শীল রাউজান প্রতিনিধি

রাউজানে জলাতঙ্ক প্রতিরোধে গণ হারে কুকুরকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে!

প্রকাশ: ২০২০-০৩-১২ ২১:২৪:৩৬ || আপডেট: ২০২০-০৩-১২ ২১:২৪:৪৪

প্রদীপ শীল, রাউজানঃ

মরণব্যাধি জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধে রাউজানে গণহারে কুকুরের টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১২মার্চ) জুনোটিক কন্ট্রোল প্রোগ্রাম রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা আয়োজিত কুকুরের টিকাদান ও অবহিতকরণ সভায় এই তথ্য জানানো হয়।

রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ নুর আলম দীন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সুপার ভাইজার মাহতাব উদ্দিন আহম্মদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ফেরদৌস আরা, মেডিকেল অফিসার ডাক্তার এসএম ইকবাল হোসাইন, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সুপার ভাইজার আমিনুল ইসলাম, স্বাস্থ্য পরিদর্শক নূর আলী, রাউজান থানার এস আই কামাল উদ্দিন, কদলপুল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কমল চক্রবর্তী, পৌর মহিলা কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস ডলি, সাংবাদিক প্রদীপ শীল, সাংবাদিক হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অবহিতকরণ সভায় জলাতঙ্ক মানব দেহের সমস্যা ও প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কিত একটি তথ্য ভিক্তিক প্রতিবেদন ডিসপ্লে করা হয়।
সভায় প্রোগ্রামের সুপার ভাইজার মাহতাব উদ্দিন জানান, জলাতঙ্ক একটি মরণব্যাধি রোগ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু শতভাগ।

বিশেষ করে শিশু, গবাদিপশুককে কুকুর কামর দিয়ে থাকে। কুকুর, বিড়াল ও শেয়ালের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ ছড়ায় বেশি। তাই এসব প্রাণী থেকে সাবধান চলা উচিৎ। তবে কাউকে কুকুর বেড়ালে কামড় দিলে সাথে সাথে ক্ষতস্থানে কাপড়কাচার সাবান দিয়ে বার বার ধুয়ে ফেলতে হবে। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শে ভ্যাকসিন নিতে হবে।

তবে ঠিকাদান কর্মসূচি সফল হলে ৭০ ভাগ মানুষ উপকৃত হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নুর আলম দীন বলেন, বাংলাদেশ থেকে জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলের লক্ষে ২০১০ সাল থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত উদ্যোগে জাতীয় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ এবং নির্মূল কর্মসূচি বাস্তায়ন করা হচ্ছে।

এই কমূসূচির আওতায় দেশের জেলা উপজেলায় ৬৭টি জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ এবং নির্মূল কেন্দ্র চালু রয়েছে। এসব কেন্দ্রে কুকুরে কামড়ে আক্রান্ত রোগীর আধুনিক চিকিৎসা এবং বিনামূল্যে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক দেয়া হচ্ছে। তিনি জানান, আগামী ২০২২ সালের মধ্যে দেশের প্রায় ৪ লক্ষ কুকুরকে টিকা দেয়া হবে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে । প্রাণী সসম্পদ ককর্মকর্তা মিজানুর রহমান আগামী জানান ১৫ থেকে ১৯ মার্চ চৌদ্দ ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় সকল কুকুরকে টিকা দেয়া হবে। ঠিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে ৫ জন করে ৩০টি টিম কাজ করবে। আগামী ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর কুকুরকে টিকাদান কার্যক্রম চলবে বলেও তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *