জাহেদুল হক আনোয়ারা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০২০-০৩-৩১ ২১:২৫:৪৯ || আপডেট: ২০২০-০৩-৩১ ২১:২৫:৫২
জাহেদুল হক,আনোয়ারা: করোনা আতঙ্কের মধ্যেও আনোয়ারায় ২৯টি কমিউনিটি ক্লিনিকের (সিএইচসিপি) স্বাস্থ্যকর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। তবে করোনা মোকাবিলায় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের (পিপিই) ন্যায় অন্যান্য সাপোর্টিং এই স্বাস্থ্যকর্মীদের নেই। এ কারণে অনেক স্বাস্থ্যকর্মী নিয়মিত কমিউনিটি ক্লিনিকে না আসায় স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না তৃণমূলের মানুষ। করোনা আতঙ্কে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় বেশিরভাগ রোগীই চিকিৎসা নিতে ভিড় করছেন স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে। সারা দেশ কার্যত লকডাউনে থাকায় চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন শহরের লোকজন এখন গ্রামের বাড়িতে অবস্থান নেয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। উপজেলার খাসখামা কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) নাজমা আক্তার জানান, দৈনিক গড়ে অর্ধ শতাধিক রোগী আসতো। আগের তুলনায় এখন রোগী বাড়ছে। করোনা মোকাবিলায় বরাদ্দকৃত সরকারি ওষুধ ছাড়া আমাদের সুরক্ষায় পিপিই,গ্লাভস,মাস্ক এবং অন্য কোনো সাপোর্ট নেই। গ্রামের মধ্যে সর্দি-কাশি,জ্বর-ঠান্ডাজনিত রোগীই বেশি আসে। এগুলো করোনা রোগের লক্ষণ মনে করে চিকিৎসা দিতেও সাহস পাচ্ছি না। আনোয়ারা উপজেলা সিএইচসিপি এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা রুবেল বলেন,উপজেলার ২৯টি কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা চরম ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছেন। জনস্বার্থের কথা চিন্তা করে করোনা মোকাবিলায় এসব স্বাস্থ্যকর্মীর সুরক্ষা সামগ্রী অতীব জরুরি। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আবু জাহিদ মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন বলেন,যারা করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেবেন তাদের জন্য পিপিই। তবে কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপিদের সুরক্ষায় মাস্ক ও গ্লাভস দেওয়া হবে।