চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin

সিনহা হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন র‌্যাবের মহাপরিচালক

প্রকাশ: ২০২০-০৮-১৭ ২১:৩৩:৫১ || আপডেট: ২০২০-০৮-১৭ ২১:৩৩:৫৮

মেজর সিনহা (অব:) মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী (বিপিএম-পিপিএমও) সহ র‌্যাবের একটি উচ্চ পর্যায়ের দল। সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হেলিকপ্টার যোগে তারা ঘটনাস্থল আসেন।

পরিদর্শনকালে র‌্যাবের মহাপরিচলকসহ উচ্চ পর্যায়ের দলটি ঘটনাস্থল ভালোভাবে ঘুরে দেখেন এবং নানা তথ্য সংগ্রহ করেন। নিহত সিনহার বোনের দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক এএসপি খাইরুল হাসান তাদেরকে ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ-খবর জানান। প্রায় আধা ঘন্টা পর্যন্ত অবস্থানের পর পরিদর্শন দলটি ঘটনাস্থল থেকে হেলিকপ্টার যোগে ফিরে আসেন।

এ সময় র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘কোনও অপরাধী যেন ছাড়া না পায় সেভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা কোনও পক্ষের না। প্রকৃত ঘটনা তুলে আনার জন্য কাজ করছি। পেশাদারিত্বের মেজর সিনহা নিহতের তদন্ত চলছে। তাই সুষ্ট তদন্তের জন্য ঘটনার বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
সোমবার বিকেলে হেলিকপ্টার যোগে র‌্যাবের একটি দল অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনাস্থল টেকনাফের বাহারছড়া এলাকায় পরিদর্শন করেন। এসময় তদন্ত দলটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করেন। তবে কোন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেন নি তারা। পরিদর্শনকালে বিভিন্ন স্তরের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে ঘটনাস্থলের আশপাশে কঠোরভাবে নিরাপত্তার বলয় তৈরি করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় নিহতের বোন শাহরিয়ার শারমিন ফেরদৌস বাদী হয়ে গত ৫ আগস্ট টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরির্দশক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ এ হ্যতাকাণ্ডে যে পৃথক মামলাটি করেছে সেটির তিন সাক্ষীকেও গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তারাও এখন রিমান্ডে রয়েছেন। আর মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয়েছে র‌্যাবকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *