admin
প্রকাশ: ২০২০-১২-২০ ১৩:২৫:৩৬ || আপডেট: ২০২০-১২-২০ ১৩:২৫:৪২
ডেস্ক রিপোর্ট|
এডিলেড টেস্টে দিনটি ছিল ভারতের লজ্জার দিন। টেস্টে নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৩৬ রানে গুটিয়ে গেছে বিরাট কোহলির দল। এর ফলে ৮ উইকেটে বিশাল জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
ওভালে ১ ওভারে ৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা ভারত এলোমেলো হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের নিখুঁত লাইন-লেংথের বোলিংয়ে।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ম্যাচে কিছুটা এগিয়ে ছিল ভারত। প্রথম ইনিংসে ৫৩ রানের লিড নেওয়া দলটিকে তৃতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টায় গুটিয়ে দেন হেইজেলউড ও কামিন্স। অস্ট্রেলিয়াকে দেওয়া হয় ৯০ রানের ছোট্ট লক্ষ্য।
বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া জো বার্নসের ফিফটিতে সহজেই সেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। ম্যাথু ওয়েডের সঙ্গে বার্নসের ৭০ রানের উদ্বোধনী জুটিতে জয়ের দুয়ারে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।
৫ চারে ৩৩ রান করা ওয়েডের রান আউটে ভাঙে শুরুর জুটি। মার্নাস লাবুশেনকে দ্রুত ফেরান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। স্টিভেন স্মিথকে নিয়ে বাকিটা সহজেই সারেন বার্নস। ছক্কায় ম্যাচ শেষ করা এই ওপেনার ৬৩ বলে করেন ৫১ রান। ইনিংসে ৭ চারের পাশে ছক্কা ওই একটিই।
এর আগে শনিবার এডিলেড ওভালে ১ উইকেটে ৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা ভারত এলোমেলো হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের নিখুঁত লাইন-লেংথের বোলিংয়ে।
সফরকারীদের কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে, সর্বোচ্চ ৯ রান আসে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ব্যাট থেকে। শুরুতে ছোবল দেন কামিন্স। তার বেঁধে দেওয়া সুরে সঙ্গত করেন হেইজেলউড। লেজটুকু দ্রুত ছেটে দেন তিনিই। তার বোলিং ফিগার ৫-৩-৮-৫। মাত্র ঘণ্টা খানেক টিকতে পেরেছে সফরকারীরা। ১৫ রানেই ৫ উইকেট হারানোর পর দলটি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে হেইজেলউড অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার। অষ্টমবার টেস্টে পেলেন পাঁচ উইকেট। কামিন্স ৪ উইকেট নেন ২১ রানে।
ভারতের ৩৬ এর চেয়ে টেস্ট ইতিহাসে কম রান আছে কেবল চারটি। এই সংস্করণে ভারতের আগের সর্বনিম্ন ছিল ৪২। ১৯৭৪ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ড তাদের গুটিয়ে দিয়েছিল কেবল ১৭ ওভারে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগের সর্বনিম্ন ছিল ১৯৪৭ সালে ব্রিজবেনে করা ৫৮।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ২৪৪ (কোহলি ৭৪; স্টার্ক ৫৩/৪, কামিন্স ৪৮/৩)
ভারত ২য় ইনিংস: ৩৬ (আগারওয়াল ৯; কামিন্স ২১/৪, হ্যাজেলউড ৮/৫)
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ১৯১ (পেইন ৭৩; অশ্বিন ৫৫/৪, উমেশ ৪০/৩)
অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: ৯৩/২ (বার্নস ৫১; অশ্বিন ১৬/১)
ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরা: টিম পেইন (অস্ট্রেলিয়া)
সিরিজ: ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া।