চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

admin

সীতাকুণ্ডের আগুনে ৫ জনের মৃত্যু, দগ্ধ দুই শতাধিক!|বীর কণ্ঠ

প্রকাশ: ২০২২-০৬-০৫ ০১:৫৫:৪৭ || আপডেট: ২০২২-০৬-০৫ ০১:৫৫:৫০

ডেস্ক রিপোর্ট|
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট কাজ করছে। এ পর্যন্ত দগ্ধ হয়ে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দুই শতাধিক দগ্ধ ছাড়াও অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

শনিবার (০৪ জুন) রাতে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক নিউটন দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সব ইউনিটে সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আগুন নেভাতে আরও কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকেও ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট আনা হয়েছে।

তবে কতজন হতাহত হয়েছেন সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি। আহতদের হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ডিপোতে আমদানি ও রফতানির বিভিন্ন মালামালবাহী কন্টেইনার ছিল বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডিপোর কন্টেইনারে রাসায়নিক ছিল, বিকট শব্দে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত চারিদিকে আগুন ছড়িয়ে যায়। অনেক আহত হয়েছেন।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কন্টেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুন লাগে। প্রথমে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।

রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কন্টেইনার থেকে অন্য কন্টেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি কন্টেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে।

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক সাংবাদিকদের বলেন, বিস্ফোরণে তাদের থানার কনস্টেবল তুহিনের এক পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আরও অন্তত পাঁচ কনস্টেবল, ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাহার হোসেন এবং শিল্প পুলিশের একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।

রাত সাড়ে দেড়টার দিকে চট্টগ্রামের মেডিকেলের মর্গের সামনে এ ঘটনায় নিহত ৫জনের মরদেহ দেখা গেছে। সেখানে ফরহাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, তার চাচাতো ভাই মোবিন ওই ডিপোতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। বিস্ফোরণে সে মারা গেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *