চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

admin

বান্দরবানে শুরু হয়েছে “ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে”

প্রকাশ: ২০১৭-১০-০৫ ১৯:৩৮:৪৪ || আপডেট: ২০১৭-১০-০৫ ১৯:৩৮:৪৪

বি.কে বিচিত্র,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:      পার্বত্য জেলা বান্দরবানে আজ থেকে শুরু হয়েছে  মারমা সম্প্রদায়ের অন্যতম ও আকষর্ণীয় ধর্মীয় উৎসব ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে (প্রবারণা উৎসব)। আর তাই জেলাজুড়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির পরিবারগুলোতে বইছে আনন্দের বন্যা। উৎসবকে ঘিরে আয়োজন করা হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের।

আজ পাঁচ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে দুই দিনব্যাপী পার্বত্য জেলা বান্দরবানে চলবে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় ও আকর্ষণীয় উৎসব ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে। বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা আষাঢ়ী পুর্ণিমার পর দিন থেকে তিন মাসব্যাপী বর্ষাব্রত পালন শুরু করে এবং প্রবারণ পুর্ণিমার দিন তা শেষ করে পালন করে ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে।

এ উপলক্ষে বিকেলে পুরাতন রাজার মাঠে ফানুস উড়ানো শুভ উদ্ধোধন করেন

পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি। এসময়  উপস্থিত ছিলেল, সেনা রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল যুবায়ের সালেহী পিএসসি, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, জেলা প্রশাসক দীলিপ কুমার বনিকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

 

 

 

ওয়াগ্যোয়াই পুর্ণিমার দিনই রাজকুমার সিদ্বার্থের মাতৃগর্ভে প্রতিসন্দি গ্রহণ, গৃহত্যাগ ও ধর্মচক্র প্রবর্তন সংঘটিত হয়েছিল। তাই প্রতিটি বৌদ্ধ ধর্মালম্বীর কাছে দিনটি বিশেষ স্মরণীয় হয়ে আছে।

এই দিনকে স্মরণ করার জন্য জেলাজুড়ে দুই দিনব্যাপী চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির আয়োজনে রথযাত্রা, বিভিন্ন পাড়ায় ও গ্রামে পিঠা উৎসব ও ফানুস বাতি ওড়ানোসহ নানা আয়োজন। উৎসবের প্রধান আকর্ষণ একটি রথ তৈরি। রথটি দুইদিন টেনে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার প্রদক্ষিণ, বাতি প্রজ্জলন ও সর্বধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে মধ্যরাতে সাংগু নদীতে বিসর্জন দেয়া। আর তাই শেষ মুর্হুতে রথ প্রস্তুুতির কাজ নিয়ে দিন রাত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন শিল্পীরা।

ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে মারমা সম্প্রদায়ের প্রাণের উৎসব। আর এই প্রাণের উৎসবে ভগবান বুদ্বকে মনের আশা পুরণের জন্য কাগজে তৈরি ফানুস বাতি তৈরি করে তাতে আগুন দিয়ে আকাশে উড়িয়ে নিজেদের ইচ্ছার বহিপ্রকাশ ঘটায় বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা। জেলাজুড়ে তাই ফানুস তৈরি ও বিক্রি করতে ব্যস্ত সময় পার করছে অনেকেই।

 

 

 

তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা পুর্ণিমার দিন বিহার থেকে বের হয়ে সব বিবাদ ভুলে গিয়ে একে অন্যের প্রতি সম্ভাষণ জানানো ও মনের সব সংর্কীণতা পরিহার করে অহিংসার মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে মহামিলনের নিজ সংসারে ফিরে আসা হয়। তাই এই উৎসবে মেতে ওঠবে মারমা তরুণ-তরুণী, কিশোর কিশোরী, দায়ক-দায়িকা, উপাসক-উপাসিকাসহ সকল বৌদ্ধ র্ধমালম্বী। আর তাই এই মহামিলনে সকলের আনন্দেকে আরো বেগমান করতে নানা আয়োজনের কথা জানালেন উৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক কো কো চিং। তিনি জানান, প্রতিবছরের মত এবার ও আমরা আরো আনন্দঘন মুহুর্তে আমাদের এই প্রবারণা উৎসবকে উদযাপন করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *