admin
প্রকাশ: ২০১৭-১১-০৫ ২১:৩৬:৪১ || আপডেট: ২০১৭-১১-০৫ ২১:৩৬:৪১
বীর কন্ঠ ডেস্ক:
চোরাই দেড় লাখ লিটার ডিজেলসহ চট্টগ্রাম থেকে চুরি হওয়া এমটি রাইদা নামের একটি তেল ট্যাংকার খুলনায় জব্দ করেছে র্যাব-৬ এর সদস্যরা।
এ সময় ট্যাংকারে অবস্থান করা ১৪ জন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়। পরে চোরাই তেলের ক্রেতা সুমনকেও আটক করে র্যাব।
রোববার অভিযান চালিয়ে ক্রিসেন্ট জুট মিল এলাকার ভৈরব নদ থেকে ট্যাংকারটি জব্দ করা হয়। এ সময় ৬ হাজার লিটার তেল (ডিজেল) উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত তেল চোরাকারবারিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
র্যাব-৬-এর স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, শনিবার রাতে খবর পেয়ে র্যাব-৬ এর সদস্যরা খালিশপুর এলাকায় ভৈরব নদে তল্লাশি চালায়।
রাত ২টার দিকে ক্রিসেন্ট জুট মিলের পেছনে ভৈরব নদের মাঝখানে ‘এমটি রাইদা’ নামে একটি ট্যাংকার পাওয়া যায়। সকালে তেলসহ ট্যাংকারটি জব্দ করা হয়। ওই ট্যাংকারটির ধারণ ক্ষমতা ২০ লাখ লিটার। এটি ২৭ অক্টোবর থেকে এখানে রয়েছে।
ইতোমধ্যেই ট্যাংকার থেকে তেল বিক্রি করাসহ বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ট্যাংকারে থাকা ১৪ জনকে র্যাব হেফাজতে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম থেকে চুরি হওয়া তেল সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। এরপর এ চোরাই তেলের ক্রেতা সুমনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত ৬ হাজার তেল (ডিজেল) উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তেল উদ্ধার করা হচ্ছে।
জানা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন কোম্পানি যমুনা অয়েল কোম্পানির প্রধান ডিপো থেকে প্রায় এক কোটি টাকার জ্বালানি তেল গায়েব করে দেয়া হয়। দুটি জাহাজে বোঝাই করে এ তেল পরিবহন করা হয়। দেড় লাখ লিটারেরও বেশি জ্বালানি তেল দুটি জাহাজে লোড করে পাচার করে দেয়া হয়। এমটি রাইদা নামের একটি জাহাজ গত ২৫ অক্টোবর দৌলতপুর ডিপোর জন্য ডিজেল বোঝাই করে।
যমুনা অয়েল কোম্পানির জিএম (মার্কেটিং) মীর আলী রেজা দুটি জাহাজের হিসেবে গোলমাল হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তেলসহ ট্যাংকার জব্দ করার ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা লোক পাঠিয়েছি। – জাগো নিউজ