চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

admin

সাংবাদিক সম্মেলনে রোকসানা আক্তার : সম্পদ কেড়ে নিয়ে আমাকে শশুরবাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে

প্রকাশ: ২০১৭-১১-০৫ ১১:৫৯:৫৭ || আপডেট: ২০১৭-১১-০৫ ১২:০১:১৫

আলাউদ্দিন, স্টাফ. রিপোর্টার :

লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর সর্দারনী পাড়ার মৃত জসিম উদ্দীনের স্ত্রী ৪ কন্যা সন্তানের জননী রোকসানা আক্তারের সহায় সম্পদ কেড়ে নিয়ে শশুর বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিল শশুরবাড়ীর দুই মেয়ে ফরিদা বেগম ও কনিচা বেগম। বিচারের আশায় অসহায় বিধবা রোকসানা আজ ৫ অক্টোবর  সকাল ১০ লোহাগাড়ায় স্থানীয় একটি হোটেলে

সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

 

এ সময় রোকসানার ৪ মেয়ে উপস্থিত ছিল। এছাড়া এর আগে পুলিশের উর্ধ্বতন মহলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন করেছেন বলে ও জানিয়েছেন রোকসানা বেগম।

 

সাংবাদিক সম্মেলনে রোকসান আক্তার  বলেন, উপজেলার আধুনগর সর্দারনী পাড়ার সিদ্দিক আহমদের ছেলের সাথে প্রায় ১৪ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের বিবাহীত জীবনে তাদের ৪ টি কন্যা সন্তান রয়েছে। তাদের বয়স যথাক্রমে ১২ বছর,৭ বছর, ৫ বছর ও ৭ মাস বছর। শেষ সন্তান জন্ম নেওয়ার ২ মাসের মাথায় হঠাৎ তার স্বামী মারা যায়।

 

স্বামীর হঠাৎ মৃত্যুর কারনে তিনি অসহায় হয়ে পড়েন। এ সময় তার স্বামীর দুইবোন মিলে তার কাছ থেকে জোর করে দুইটি চেকে সই নিয়ে তার নগদ সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নেয়। তার স্বামীর ক্রয় করা দুইটি বিমানসু ও ২ টি ডাম্পার ও ১ টি মোটর সাইকেল রেখে দিয়ে বাড়ী থেকে বের করে দেয়।

 

এছাড়াও তারা জোর করে বিধবা রোকসানা আক্তারের কাছ থেকে ৮ টি সাদা ষ্ট্যাম্প ও ৪ টি সাদা কার্টিজ এ স্বাক্ষর নেয়। বাড়ী থেকে বের করে দেওয়ার সময় ফরিদা ও তার বোন গাড়ী ও গাড়ীর কাগজপত্রগুলোও নিয়ে নেয়। গাড়ীগুলোর মধ্যে বিমান সু গাড়ী (নং চট্টমেট্টো চ ১১-৬৯২১) গাড়ীটি রোকসানার নিজের নামেই রয়েছে।

 

অন্যান্য গাড়ীগুলো বিমান সু গাড়ী  নং (১১-৫৯১৯), ডাম্পার গাড়ী নং ১০৩ ও ১০৪ এবং একটি মোটর সাইকেল যার নং (১১-৩৩৮৭) তার স্বামীর নামে রেজিষ্ট্রেশন করা রযেছে। সহায় সম্পদ হারিয়ে বিধবা রোকসানা তার ৪ কন্যা সন্তান নিয়ে নিজের বাপের বাড়ীতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বর্তমানে তার সহায় সম্পদ ফিরে পেতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

 

সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এক পর্যায়ে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বলেন, আজ ৬ মাস ধরে আমি আমার বাবার বাড়ীতে সন্তানদের নিয়ে অবস্থান করছি। আমার বাড়ীতে আমার বৃদ্ধ বাবা ছাড়া আর কেউ উপার্জনক্ষম লোক নেই। আমি সন্তানদের নিয়ে না খেয়ে দিনযাপন করছি। সাংবাদিক সম্মেলনে স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্ধ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *