চট্টগ্রাম, , রোববার, ৫ মে ২০২৪

Alauddin Lohagara

নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হোক আমরা চাই : কাদের

প্রকাশ: ২০১৭-১২-১২ ১৪:০৫:২১ || আপডেট: ২০১৭-১২-১২ ১৪:০৫:২১

বীর কন্ঠ ডেস্ক:

বিএনপির আগামী নির্বাচনে না আসার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্তিত্ব ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে না চাইলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতেই হবে। এটাকে তারা পাশ কাটিয়ে যেতে পারে না। তাহলে তারা আরও সংকুচিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে যাবে।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা যাওয়ার পথে যশোরের রাজারহাটে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বারবার বলেছি- নির্বাচনে বিএনপি আসুক, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হোক। প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন কোনো নির্বাচন আমরা করতে চাইনি। কিন্তু বিএনপি একটা পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিয়েছিল। আসবো আসবো করে বিএনপি ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে একটা প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। কিন্তু আইনগতভাবে নির্বাচন কারও জন্যে থেমে থাকে না। নির্বাচনের ট্রেন চলবেই। গণতন্ত্রের যাত্রা ব্যহত হওয়ার সুযোগ নেই। আর বিএনপি না আসলে নির্বাচন তো বন্ধ থাকতে পারে না। বিএনপি নির্বাচনে না আসলে গণতন্ত্রের কী দোষ!

 

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের সঙ্কট থাকলে, নির্বাচন সঠিক না হলে আইপিইউ ও সিপিইউ দুটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন বাংলাদেশে হতো না। এ কথা জিজ্ঞেস করলে বিএনপি নেতারা সে পথে হাঁটতে চান না। তারা মিথ্যাচারের ভাঙা রেকর্ড বাজাতেই থাকেন। তারা বলেন, ‘গেল রে গেল, গণতন্ত্র গেল। গেল রে গেল, নির্বাচন গেল।’ আগে বলতো, ‘গেল রে গেল বাংলাদেশ ইন্ডিয়া হয়ে গেল।’

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হোক আমরা চাই। বিএনপি একটা বড় দল। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রবল হবে এই সুযোগ বিএনপি হাতছাড়া করে ফেলেছে। বিএনপির দুর্নীতির কেচ্ছা কাহিনীর থলের বিড়াল মিউ মিউ করে বেরিয়ে আসছে। কাতার, সৌদি আরবের দুর্নীতির খবর প্রকাশ হয়েছে। কানাডার আদালত তো রায় দিয়েছে তারা সন্ত্রাসী সংগঠন। তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর দুর্নীতির রায়ও হয়েছে। বাংলাদেশের আদালতেও অর্থপাচার মামলায় তারেক রহমানের সাজা হয়েছে। এগুলোকে বিএনপি কী অস্বীকার করতে পারে?

 

সেতুমন্ত্রী বলেন, কয়েক দিন আগে একটি পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে ঢাকা শহরের কিলার গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করছে বিএনপির সুইডেন প্রবাসী এক নেতা। দুই বছর আগে সুইডেনে পাঠিয়ে দেয়া ওই নেতা ঢাকা শহরের কিলার নিয়ন্ত্রণ করছে। দেশে খুন-গুমের সঙ্গে বিএনপি নেতার ওই কিলিং গ্রুপ জড়িত কি না সন্দেহ হচ্ছে আমাদের।

 

ব্রিফিংকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেন, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদারসহ সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।-জাগো নিউজ

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *