চট্টগ্রাম, , মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

Alauddin Lohagara

সৌদি নারীদের ব্যবসা শুরু করতে এখন আর পুরুষের অনুমতি লাগবে না

প্রকাশ: ২০১৮-০২-১৮ ২০:২৫:৪৪ || আপডেট: ২০১৮-০২-১৮ ২০:২৫:৪৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

একে একে সংস্কার আর নিষেধের দেয়াল ভাঙছে সৌদি আরবে। এরই সর্বশেষ নজির,। 

যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সংস্কারপন্থি নতুন সরকার বৃহস্পতিবার এই যুগান্তকারী ঘোষণাটি দিয়েছে। এর আগে চিরকালই সৌদি নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছুতেই পুরুষের অনুমতির দরকার পড়তো। এটাই ছিল রীতি, প্রথা ও আইন। এবার সেই পুরুষতান্ত্রিক অভিভাবকত্বের জগদ্দল নীতির চির অবসান ঘটল। সৌদি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রণালয় এই ঘোষণা দিয়েছে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো রোববার দিয়েছে এই খবর।খবরে বলা হয়, সরকারের নতুন এই ঘোষণার সুবাদে সৌদি নারীরা স্বামী, পিতা বা পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

এর আগে সবকিছুতেই, এমনকি সামান্য একটি ফরম পূরণ করতে, কোনো ক্লাশে নাম লেখানোর মতো বিষয়েও স্বামী, পিতা, ভাই বা পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি লাগতো।

সৌদি আরবের নতুন সরকার তেলের মূল্য পড়ে যাওয়াজনিত অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে বেসরকারি খাতের বিকাশে মনোনিবেশ করেছে। সরকার চায় এখাতে বিনিয়োগ বাড়ুক। এজন্যেই সরকার চায় সংস্কারের আগল ভেঙে নারীরাও এক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি জোরালো অবদান রাখুক।

নতুন সরকার এসে সমাজের খোল নলচে পাল্টে দিতে শুরু করেছে। চাকুরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের নিয়োগ দিচ্ছে। এসবের মধ্যে এমনসব ক্ষেত্রে নারীদের নিয়োগ পাওয়ার পথ খুলে গেছে, একদা যা ছিল পুরুষের জন্য একচেটিয়া। বিমানবন্দরগুলোতে এবং সীমান্ত ক্রসিংগুলোতে নারীদের জন্য ১৪০ ধরনের পদে যোগদানের সুযোগ তৈরি করেছে সরকার। যা একসময় ছিল অকল্পনীয়। এরই মধ্যে ১০৭,০০০ নারী এসব পদে আবেদনও করেছেন।

এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে ৩২ বছর বয়সী ‘পরিবর্তনের দূত’, মুক্তমনা, উদারপন্থি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান গত বছরের অক্টোবরে ক্ষমতা গ্রহণের ফলে। মোল্লাতন্ত্রের ক্ষমতা একে একে খর্ব করে তিনি আধুনিক তারুণ্য-বান্ধব এক আধুনিক দেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন। তার এই ‘খোলা দুয়ার নীতি’র সুবাদে এরই মধ্যে অর্থনীতি চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। তরুণরা নতুন স্বপ্নে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। বিশেষত নারীরা চার দেয়ালের নিগড় থেকে বেরিয়ে সমাজের মূলস্রোতে সামিল হচ্ছেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *