Alauddin Lohagara
প্রকাশ: ২০১৮-০২-২২ ১৮:৩৭:৫৬ || আপডেট: ২০১৮-০২-২২ ১৮:৩৭:৫৬
এম.এ.এইচ রাব্বী:
সবুজের সমারোহে পাহাড়ে ঘেরা ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটার দিকে চবি প্রক্টর অফিসের সামনে ছাত্রলীগের একাংশের হামলার শিকার হয়েছেন সময় টেলিভিশনের প্রতিবেদক পার্থ প্রতীম বিশ্বাস, চিত্র সাংবাদিক নুর জামাল আতিক, যমুনা টেলিভিশনের প্রতিবেদক আরিফুর রহমান সবুজ, চিত্র সাংবাদিক মুহাম্মদ নাছির। ভাঙচুর করা হয়েছে সময় সংবাদের গাড়ী।
গণমাধ্যমকর্মীদের উপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবীতে বন্দর নগরীতে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) আয়োজনে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২শে ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিইউজের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে টিভি ইউনিট প্রধান অনিন্দ্য টিটোর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিইউজের সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, বিএফইউজের সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম, সিইউজের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ, রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, বিএফইউজের যুগ্ম সম্পাদক তপন চক্রবর্তী, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ ফারুক, সিইউজের সাবেক সহ-সভাপতি নিরুপম দাশগুপ্ত, সিইউজের যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শামসুল ইসলাম, সিইউজের অর্থ সম্পাদক কাশেম শাহ, প্রচার ও প্রকাশনা সস্পাদক আহমেদ কুতুব, নির্বাহী সদস্য উত্তম সেন গুপ্ত, পূর্বদেশ ইউনিট প্রধান রতন কান্তি দেবাশীষ, টিভি ইউনিটের ডেপুটি প্রধান মাসুদুল হক, চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক লতিফা আনসারী রুনা, চট্টগ্রাম টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি শফিক আহমেদ সাজিব, হামলার শিকার সাংবাদিক আরিফুর রহমান সবুজ, পার্থ প্রতীম বিশ্বাস, চবি সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আশহাবুর রহমান শোয়েব, চবি সাংবাদিক আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপু একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা হলেও পুলিশ তাকেসহ সন্ত্রাসীদের এখনো গ্রেফতার করেনি। এখন পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা কিংবা কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সন্ত্রাসীদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। এর মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ভিসির পদত্যাগ, কার্যালয় ঘেরাওসহ এক দফা আন্দোলন করা হবে।
রাজনৈতিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীনের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে বলে সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়।