admin
প্রকাশ: ২০১৮-০৪-০৮ ২৩:৪১:২২ || আপডেট: ২০১৮-০৪-০৮ ২৩:৪১:২২
বীর কন্ঠ ডেস্ক :
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে রাজধানীর পুরো শাহবাগ এলাকা।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর পুলিশ তাদেরকে সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে প্রথমে লাঠিচার্জ করে। এর জবাবে আন্দোলনকারীরাও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে।
এর পর পুলিশ ফাঁকাগুলি, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু আন্দোলনকারীরা সড়কের বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে ও ইট-পাটকেল ছুঁড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জবাব দেন।
এ সংঘর্ষে একজন সংবাদকর্মীসহ আন্দোলনকারীদের বেশ ক’জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ রিপোর্ট লেখার সময় রাত ৯টায় পুলিশের সঙ্গে চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সঘর্ষ চলছে।
এতে রাজধানীর এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকা একেবারে জনশূন্য হয়ে গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নেয়া আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। রাত সাড়ে ৭টার পর শিক্ষার্থীদেরকে সড়ক থেকে পুলিশ সরিয়ে দিতে গেলে এ সংঘর্ষ বাধে।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ টিয়ারশেল, ফাঁকাগুলি ও জলকামানের সহায়তায় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে টিয়ারশেল থেকে শিক্ষার্থীরা নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করে।
এর আগে আজ রোববার দুপুর থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালন করছিলেন আন্দোলনকারীরা। কেন্দ্রীয়ভাবে বেলা দুইটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে এই পদযাত্রাটি শুরু হয়।
পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনের রাস্তা দিয়ে বের হয়ে রাজু স্মৃতি ভাস্কর্য হয়ে নীলক্ষেত ও কাঁটাবন ঘুরে শাহবাগের মোড়ে এসে অবস্থান নেন তারা। শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা শাহবাগের মূল রাস্তায় অবস্থান নেয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
তাদের দাবি, বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে ১০ শতাংশে আনতে হবে। বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ৫৬ শতাংশ বিভিন্ন ধরনের অগ্রাধিকার কোটা রয়েছে। আর বাকি ৪৪ শতাংশ নিয়োগ হয় মেধা কোটায়। এ জন্য এই কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা।
ঢাকার বাইরেও দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক উপস্থিতি ছিলো আন্দোলনকারীদের। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর ইত্যাদি বিভাগীয় শহর এবং বেশিরভাগ জেলা শহরেও বিকেল থেকে সড়ক অবরোধ করে শান্তিপূর্ণ অবস্থান সন্ধ্যার পর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।