চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

admin

মুসলিম বিশ্বের জন্য ৪ কর্মপন্থা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ২০১৮-০৫-০৬ ০০:৫৭:০৭ || আপডেট: ২০১৮-০৫-০৬ ০০:৫৭:০৭

বীর কন্ঠ ডেস্ক :

ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য মুসলিম দেশগুলোর জন্য চারটি কর্মকৌশল ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওআইসি’র ৪৫তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে তিনি এ কর্মকৌশল ঘোষণা করেন।

‘স্থায়ী শান্তি, সংহতি ও উন্নয়নের জন্য ইসলামি মূল্যবোধ’- শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন চলবে আগামী ৬ মে পর্যন্ত।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পৃথিবীর এক পঞ্চমাংশ জনশক্তি, এক তৃতীয়াংশের বেশি কৌশলগত সম্পদ এবং প্রচুর সম্ভাবনাময় কয়েকটি উদীয়মান শক্তিশালী অর্থনীতির দেশসহ অপার সম্ভবনা ও সম্পদশালী মুসলিম বিশ্বের পিছিয়ে পড়ে বা অমর্যাদাকর অবস্থায় থাকার কোনো কারণ নেই।’

 

তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন আমাদের অধিকার, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আমাদের নাগালের মধ্যে এবং সামাজিক অগ্রগতির উপায় আমাদের হাতে। আমাদের এখন প্রয়োজন যৌথ ইসলামী কর্মকৌশল ঢেলে সাজানো।’

এরপরই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মুসলিম দেশগুলোর সম্পদকে কাজে লাগিয়ে জনগোষ্ঠীকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ইসলামী কর্মকৌশল ঢেলে সাজাতে তার চিন্তা-ভাবনা তুলে ধরেন। এগুলো হলো-

প্রথমত, ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের ওপর সকলকে আস্থাশীল হতে হবে। আমাদের সাম্প্রদায়িক মানসিকতা বর্জন করতে হবে এবং ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করা বা সমাজের বিভাজন সৃষ্টির উদ্দেশে ধর্মকে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

দ্বিতীয়ত, শান্তিপূর্ণ উপায়ে সকল বিবাদের সমাধান করতে হবে। আমাদের নিন্দুকদের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বা প্রভাব বিস্তারের সুযোগ না দিয়ে নিজেদের সমস্যা নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। ওআইসিতে আমাদের বিরোধ মীমাংসা প্রক্রিয়াসমূহকে শক্তিশালী করতে হবে এবং আমাদের নিজস্ব শক্তি ও সম্পদসমূহের আরও উৎকর্ষ সাধন করতে হবে।

তৃতীয়ত, আমাদের আত্মসচেতন ও আলোকিত জীবনযাপন করতে হবে। তাহলেই ইসলাম-সম্পর্কিত ভীতি দূর হবে। আমাদের মূল্যবোধভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্পর্কের লালন করে আলোকিত বিশ্ব ব্যবস্থার পথ দেখাতে হবে।

চতুর্থত, দারিদ্য ও ক্ষুধা দূরীকরণ এবং জরুরি মানবিক দুরবস্থা মোকাবিলার জন্য ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার বলিষ্ঠ কর্মসূচিসহ একটি দ্রুত কার্যকর উন্নয়নমূলক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা আবশ্যক। ওআইসি-২০২৫ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

 

উল্লেখ্য, প্রায় ৩৫ বছর পর দ্বিতীয়বারের মত বাংলাদেশ ওআইসি’র নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের এমন সম্মেলন আয়োজন করেছে। এর আগে ১৯৮৩ সালে ঢাকায় প্রথমবারের মত ওআইসি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন হয়েছিল।

 

এবারের সম্মেলনে ৫৭ সদস্য বিশিষ্ট এই সংস্থার ৪০ জন মন্ত্রী ও সহকারী মন্ত্রীসহ প্রায় সাড়ে ৫শ’ প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। এবারের সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট ছাড়াও ফিলিস্তিন ইস্যু আলোচনায় অগ্রাধিকার পাচ্ছে।

 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বক্তব্য দেন- ওআইসির ৪৪তম সম্মেলনের চেয়ার ও আইভরিকোস্টের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেল আমন তানাহ, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, বিশেষ আমন্ত্রণে যোগ দেয়া কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিস ক্রিসটিয়া ফ্রিল্যান্ড, ওআইসি’র সেক্রেটারি ড. ইউসেফ এ আল-ওথাইমেন প্রমুখ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *