admin
প্রকাশ: ২০১৮-০৮-১৪ ১৭:০০:৩১ || আপডেট: ২০১৮-০৮-১৪ ১৭:০২:০১
আলাউদ্দিন, বীর কন্ঠ :
আর ক’দিন পরই ঈদ। কিন্তু ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। কারণ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের অবস্থা খুবই করুণ। ঈদকে সামনে রেখে ঝুঁকিপূর্ণ এই সড়কে ঘরমুখী মানুষের শুরু হবে ঈদযাত্রা । এসব রুটের অনেক স্থান আছে, যা যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মহাসড়কের অনেক স্থানে পিচ-কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ আর গর্তের। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীসাধারণকে। এক ঘণ্টার রাস্তা যেতে সময় লাগছে তিন ঘণ্টা। কোথাও কোথাও এর চেয়েও বেশি।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া এলাকায় বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মওসুম হওয়ায় ওই গর্তগুলোতে পানি জমে মহাসড়ক আরও বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। লোহাগাড়া উপজেলা সদরের বটতলী মোটরস্টেশনের সড়কটির অংশে চলাচলে একেবারেই অনুপযুক্ত।
চলাচলে কষ্ট পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সড়কের এ সকল ক্ষতিগ্রস্থ অংশে স্থায়ী কোন ধরনের মেরামতের কোন ধরনের উদ্যোগ না থাকায় ক্রমশ বাড়ছে এর ভয়াবহতা। বাড়ছে যানজট, বাড়ছে দুর্ঘটনা, সৃষ্টি হচ্ছে চলাচল কারিদের দুর্ভোগ। সড়ক দিয়ে চলাচল কারী যানবাহনের চালকেরা জানান মহাসড়কের ইট, পাথর, বিটুমিন, খোয়া উঠে গিয়ে ছোট বড় শত শত গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এ সড়কে। ফলে এ মহাসড়কে গাড়ি চালানো খুব কষ্ট সাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। তাছাড়া গাড়ির যন্ত্রাংশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটির সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লোহাগাড়ার ২০ কিলোমিটার দূরত্বের অংশে। এর মধ্যে উপজেলার ঠাকুরদীঘি, পদুয়া তেওয়ারীহাট, বার আউলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এলাকা, খালেকের দোকান, রাজঘাটা, পুরান বিওসি, বটতলী মোটরস্টেশন, পুরনো থানা সংলগ্ন এলাকা, থানা রাস্তার মাথা, লোহারদীঘির পাড়, এমপি মোস্তাক মিয়ার ঘাটা, আধুনগর, হাতিয়ারপুল, হাজী রাস্তার মাথা, চুনতি ডেপুটি বাজার, শাহ সাহেব গেট, ফরেস্ট গেট এলাকায় ছোট-বড় গর্তের সংখ্যা বেশি।
এ ব্যাপারে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল মিয়া বীর কন্ঠ’কে বলেন ঈদ সামনে রেখে আমরা দ্রুতগতিতে সংস্কারকাজ করে যাচ্ছি।