admin
প্রকাশ: ২০১৮-০৮-২১ ১০:২১:০০ || আপডেট: ২০১৮-০৮-২১ ১০:২১:০০
কাইছার হামিদ:
বছর ঘুরে আমাদের মাঝে আবার ফিরে এসেছে পবিত্র ঈদুল-আযহা। মহান আল্লাহ বছরে আমাদের জন্য দুইটি শ্রেষ্ঠ আনন্দের দিন উপহার দিয়েছেন। এর একটি ঈদুল ফিতর, অপরটি ঈদুল আযহা। দুই ঈদেরই রয়েছে বিশেষ বৈশিষ্ট্য। ঈদুল আযহা ত্যাগ ও কুরবানির বৈশিষ্ট্যে মন্ডিত। এর সাথে জড়িত রয়েছে হযরত ইব্রাহিম (আ.) ও ইসমাঈল (আ.) এর মহান ত্যাগের নিদর্শন। এই ত্যাগের মূলে ছিল আল্লাহর প্রতি ভালবাসা এবং তার সন্তুষ্টি অর্জন। তাই পবিত্র ঈদুল-আযহা হচ্ছে ত্যাগের উৎসব। বীরকন্ঠ পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের প্রতি রইল ঈদ মোবারক ও শুভেচ্ছা।
বাংলাদেশে এই উৎসবটি কুরবানির ঈদ নামে পরিচিত। ঈদুল আযহা মূলত আরবী বাক্যাংশ। এর অর্থ হলো ত্যাগের উৎসব। আসলে এটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে “ত্যাগ করা”। এ দিনটিতে মুসলমানেরা তাদের সাধ্যমত ধর্মীয় নিয়মানুযায়ী উট, গরু, দুম্বা কিংবা ছাগল কোরবানি বা জবাই দেয়।
ইসলামের বিভিন্ন বর্ননা অনুযায়ী, আল্লাহ ইসলামের নবী ইব্রাহীমকে স্বপ্নে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কুরবানী করার নির্দেশ দেন। এই আদেশ অনুযায়ী ইব্রাহিম তার সবচেয়ে প্রিয় পুত্র ইসমাইলকে কুরবানি করার জন্য প্রস্তুত হলে স্রষ্টা তাকে তা করতে বাধা দেন এবং পুত্রের পরিবর্তে পশু কুরবানীর নির্দেশ দেন। এই ঘটনাকে স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলিম ধর্মালম্বীরা প্রতি বছর এই দিবসটি পালন করে। হিজরি বর্ষপঞ্জি হিসাবে জিলহজ্জ্ব মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু করে ১২ তারিখ পর্যন্ত ৩ দিন ধরে ঈদুল আজহা চলে। হিজরী চান্দ্র বছরের গণনা অনুযায়ী ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার মাঝে ২ মাস ১০ দিন ব্যবধান থাকে। দিনের হিসেবে যা সবোর্চ্চ ৭০ দিন হতে পারে।
আসুন, সবাই পরিবার পরিজন নিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করি ঈদুল আযহা। আমাদের চারপাশ যেন দূর্গন্ধ ও জীবানু মুক্ত থাকে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে। কারণ কোরবানির এই ত্যাগ যেন জন জীবন দুর্বিষহ হয়ে না উঠে। আশ পাশের লোকজনকেও সচেতন করতে হবে।
বীর কণ্ঠ পরিবারের সকল সদস্য, পাঠক, শুভানুধ্যায়ীর প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক।