চট্টগ্রাম, , শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

বীর কন্ঠ ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ : ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

প্রকাশ: ২০১৮-১০-০৯ ০১:৩৪:৩২ || আপডেট: ২০১৮-১০-০৯ ০১:৩৪:৩২

দেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায় নেয়ার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারা জানায় সাগরে সৃষ্টি সুস্পষ্ট লঘু চাপটি সোমবার নিম্নচাপের পরিণত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এটি আর ঘণীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। দেশের সমুদ্র বন্দর সমূহকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অফিসের সতর্কতায়।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত সোমবার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি সোমবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৯১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার যা দম্কা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর মাঝারি ধরনের উত্তাল রয়েছে।

 

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতেও বলা হয়েছে।

 

তবে পশ্চিমবঙ্গে আবহাওয়া দফতর বলছে গভীর নিম্নচাপের জেরে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। তারা উল্লেখ করেছে নিম্নচাপের জেরে একটি ঘূর্ণিঝড় শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এর প্রভাবে আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই বৃষ্টিপাত শুরু হবে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ এখন পর্যন্ত উড়িষ্যা এবং অন্ধ প্রদেশের দিকে রয়েছে। এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকেই বৃষ্টিপাত হবে এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আছড়ে পড়বে।

 

গত শুক্রবারই বাংলাদেশ এবং বঙ্গোপসাগর এলাকা থেকে বিদায় নিয়েছে মৌসুমী বায়ু। যা গত জুনের প্রথম সপ্তাহে দেশে প্রবেশ করে। ৪ মাস অবস্থান করলে এবারের মৌসুমী বায়ু অন্যবারের চেয়ে কম সক্রিয় ছিল। মৌসুমী বায়ু দেশ থেকে বিদায় নেয়ার পরই আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করে দেন এক সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টিপাতে আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া সাগরে নিম্নচাপে সৃষ্টি হতে পারে। যা থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তর হতে পারে। সেমবার আবহাওয়া অফিস জানান সাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্নিঝড়ে রুপ নিতে পারে। আগামী তিন দিনের মধ্যে উপকূলে আঘাত করতে পারে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *