চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

নীরব জসীম ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর

মোবাইল ফোনে পরপুরুষের সঙ্গে কথা বলার জেরে স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা!

প্রকাশ: ২০১৮-১০-২৯ ২০:৪৪:৩৩ || আপডেট: ২০১৮-১০-২৯ ২০:৪৪:৩৩

নগরীতে মোবাইল ফোনে পরপুরুষের সঙ্গে কথা বলার জেরে স্ত্রীকে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী। নিহত স্ত্রীর নাম সুমি ইসলাম (২০)। স্বামী জাহিদ হোসেন রাজুর(৩৭) বিরুদ্ধে স্ত্রী সুমিকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।  হত্যার পর মস্তক বিচ্ছিন্ন মরদেহ বস্তায় ভরে নালায় ফেলা হয় এবং খণ্ডিত মস্তক ফেলা হয় ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৩/৪ কিলোমিটার দূরে একটি কবরস্থানে।

নগরীর হালিশহর থানার ছোটপোল এলাকায় এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৬ অক্টোবর রাতে। ২৯ অক্টোবর, সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পুলিশ ঘটনার পরদিন অজ্ঞাত লাশ হিসেবে ওই নারীর মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধারের পর অনুসন্ধানে নামে এবং সন্দেহভাজন খুনি হিসেবে স্বামী জাহিদ হোসেন রাজুকে আটক করে। আটক রাজু খাগাড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানার কাজীপাড়া গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে।

হালিশহর থানার ওসি (তদন্ত) এসএএম বদরুল কবীর জানান, রাজুর স্বীকারোক্তিতে ওইদিনই নগরীর ডবলমুরিং থানার বেপারী পাড়াস্থ পইট্টা দীঘির পশ্চিম পাড় কবরস্থানের দক্ষিণ পাশে ঝোপের মধ্য থেকে প্লাস্টিকের বাজারের ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় সুমির খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করা হয়।

তিনি জানান, জাহিদ হোসেন রাজুকে গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আব্দুল জলিল এবং ফেরদৌসি নামে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।

রাজুর বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তার স্ত্রী মৃত সুমি ইসলাম প্রায়ই বিভিন্ন ছেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। তারই জের ধরে গত ২৬ অক্টোবর মধ্যরাতে রাজু তার পরিচিত আব্দুল জলিল এবং ফেরদৌসিকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে সুমি ইসলামকে প্রথমে লায়লনের রশি দিয়ে শ্বাসরোধ এবং জবাই করে।

ধারালো ছোরা দিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং লাশ গোপন করার জন্য ডবলমুরিং থানাধীন বেপারী পাড়াস্থ পইট্টা দীঘির পশ্চিম পাড় কবরস্থানের দক্ষিণ পাশে ঝোপের মধ্যে মস্তকটি ফেলে দেওয়া হয়। পরে মস্তকবিহীন দেহটি বস্তায় ঢুকিয়ে বস্তার মুখ রশি দিয়ে বেঁধে হালিশহর থানাধীন ছোটপুল ইসলাম মিয়া ব্রীকফিল্ডের ৩নং রোডস্থ খান সাহেব এবং জাবেদের বাড়ির মাঝখানে নালার মধ্যে ফেলে দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *